নারায়ণগঞ্জে নানা আলোচিত–সমালোচিত ‘বাংলার সিংহাম’ খ্যাত সাবেক এসপি সেই হারুন অর রশীদ এর হাতে বন্দি হয়েছেন কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার হয়।
হারুন অর রশিদ বর্তমানে পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার। তার নেতৃত্বে একটি দল মামুনুলকে আটক করে। মামুনুলকে তেজগাঁওয়ের উপ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জে ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর মাসে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা রকম কঠোর অবস্থানের কারনে অনেকের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলী হয়ে যান তিনি। দায়িত্ব পালনের ১১ মাস বেশ আলোচিত ও সমালোচিত হন তিনি। একদিকে নানা কর্মকান্ডে প্রশংসা যেমন কুড়িয়েছেন, অপর দিকে দেশের বৃহৎ এক শিল্প গ্রুপের মালিকের ছেলের ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন।
মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও প্রয়াত শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ছেলে।
৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রিসোর্টে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর সমর্থকেরা রয়েল রিসোর্টে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতা চলান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করেন। মামলায় ৪৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাত মামলায় পুলিশ ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে।