প্রথা ভেঙে শনিবার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে রিমার নাম ঘোষণা করেন। খবর: বিবিসি ও আল অ্যারাবিয়া।
প্রিন্সেস রিমাই প্রথম নারী যিনি সৌদি রাজতন্ত্রের দূত হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন। তিনি এমন একটি সময় যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের দূতের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি আরবকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমালোচনা সইতে হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়।
প্রিন্সেস রিমার শৈশব কেটেছে ওয়াশিংটনে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ছোটো ভাই খালিদ বিন সালমানকে ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আর প্রিন্সেস রিমা অনুসরণ করছেন তা বাবা বান্দার বিন সুলতান আল সৌদের পদাঙ্ক। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রিন্স বন্দার সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাসচিব ছাড়াও রাজতন্ত্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিজি ছিলেন। তার সময়েই প্রথম রাশিয়াতে সৌদি দূত হিসেবে নিয়োগ পান ডা. রায়েদ ক্রিমলি। প্রিন্সেস রিমার দাদা প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন এবং ২০১১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ক্রাউন প্রিন্স ছিলেন।
বাবার চাকরির কারণেই প্রিন্সেস রিমা যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়েছেন এবং পড়ালেখা করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৫ সালে সৌদি আরবে ফিরে এসে তিনি সরকারি ও বেসরকারি উভয়খাতেই কাজ শুরু করেন। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন তিনি।
সৌদি আরবে নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্য তার পরিচিতি রয়েছে। যদিও তার দেশের নারী অধিকারের রেকর্ড খুব একটা সুখকর হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে রিমা ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে খেলাধুলায় দেশটির নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়। স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রেও রিমা সৌদি আরবে পরিচিত মুখ। এই কর্মসূচি দিয়ে তিনি গিনিস বুকেও নাম লিখিয়েছেন।