নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলার পর ঘা ঢাকা দিয়েছেন বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ও তার কর্মী সমর্থকরা। নৌকার সমর্থকদের মিছিলে একাধিকবার হামলা ও মামলার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল ও তার সমর্থকদের কোথায় দেখা মিলছে না। এমনকি নির্বাচনী প্রচারনায়ও দেখা যায়নি তাকে ও তার কর্মী সমর্থকদের। ফলে অনেকে আশংকা করছেন নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী মাঠ ছেড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন।
ধামগড় এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ ও কামালের ভাই আজিজ মিয়া নৌকার মনোনয়ন চান। সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে নৌকার মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ। পরে আজিজ মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দেন। অবশেষে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজিজ নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। আজিজ নির্বাচন থেকে সরে গেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দেন তার ছোট ভাই কামাল হোসেন। এদিকে নৌকা প্রতিক বরাদ্ধের পর কামাল হোসেন ও তার কর্মী সমর্থকরা কয়েক দফা হামলা চালিয়ে নৌকার সমর্থকদের মারধর করে আহত করেন। এ ঘটনায় আহতরা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে নৌকার প্রার্থীদের হামলার পর ও একাধিক মামলা ও আসামী গ্রেফতার করার পর নির্বাচন থেকে পিছু হঠতে থাকেন কামাল হোসেন ও তার সমর্থকরা। তারা ধামগড় ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে নির্বাচনী পোষ্টার লাগালেও ভোট চাইতে দেখা যাইনি তাকে ও তার সমর্থকদের। এদিকে, কামাল হোসেন নৌকার প্রার্থীদের হামলার পর তিনি প্রয়াত জাতীয়পার্টির নেতা নাছিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনী মাঠে নৌকার সমর্থকদের মাঝে ভয়ভীতির চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও তিনি ব্যর্থ হোন। গতকাল আজমেরী ওসমানের পক্ষে দুলাল প্রধান নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদকে সমর্থন দিয়ে নৌকার পক্ষে ভোটাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
এদিকে ভোটারা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের ভাই আজিজ নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তার কৌশলে তার ছোট ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নিজে সরে পড়েন। নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা করে ভয়ভীতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামলা ও হামলার ভয়ে নির্বাচনী মাঠ ছেড়েছেন। নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে নৌকার সমর্থকদের হামলা করে বিপদে পড়েন কামাল হোসেন। কামাল হোসেন ও তার আজিজ মিয়া ভাই তার মরহুম পিতা আয়নাল হোসেন চেয়ারম্যানের নাম বিক্রি করে নির্বাচনী মাঠে এসেছিলেন। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বির্তকিত হয়ে নির্বাচন ছেড়ে দিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তিনি এখনো পর্যন্ত ভোটারদের কাছে যাননি ভোট চাইতে। এছাড়া তার কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়নি নির্বাচনী মাঠে। কয়েকটি জায়গায় পোষ্টার ও তার বাড়ীর সামনে একটি নির্বাচনী ক্যাম্প করেনি তিনি লাপাত্তা।
এদিকে ২দিন পর নির্বাচনী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত ভোটার কাছে যাননি বিধায় ভোটারা ধারনা করেছেন নির্বাচনের আগেই মাঠ ছেড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন। কামাল হোসেন নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেয়ার কারণে তার অনেক কর্মী সমর্থকরা গোপনে নৌকার জয়ের জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা