নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা দাবি করে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন আজিজুল হক আজিজ। অবশেষে নৌকা প্রতিক বঞ্চিত হয়ে নৌকা ডুবাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সুত্র জানায়, আজিজুল হক আজিজ। মুসলিম দেওয়ান পরিবারে তার জম্ম। তার পিতা মরহুম আয়নাল হক জাতীয় পার্টির একজন নেতা হিসাবে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পারিবারিক ভাবে আজিজের ছোট ভাই কামাল হোসেন জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধামগড় ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত মাসুম আহম্মেদের সঙ্গে পরাজিত হন। মাসুম আহম্মেদ নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ছোট ভাই কামাল হোসেনকে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক থেকে সরে দিয়ে দুই বছর পূর্বে শামীম ওসমান হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন আজিজ।
পারিবারিক ভাবে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে ইউনিয়নবাসীর পরিচিতি। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার ৩-৪ মাস আগ থেকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে খুন ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে নামেন আজিজ। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে বহু দৌড় ঝাপের পর নৌকা প্রতীক না পেয়ে অবশেষে গত রোববার বিকালে দুই সহকারীর মাধ্যমে নৌকার বিদ্রোহী হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আজিজ হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করায় ধামগড় ইউনিয়ন তৃনমুল আওয়ামীলীগে ক্ষোভ বিরাজ করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক প্রবীণ নেতা জানান, গত নির্বাচনে কামাল হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ধামগড় ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকে কোনো প্রার্থী না থাকায় মহাজোট হিসাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন।
তৃণমূল আওয়ামীলীগের একাধিক কর্মী জানান, আজিজ ভাই নৌকায় যোগ দিয়েছেন। দলীয় রাজনৈতিক একজন ব্যক্তি সেই হিসাবে আজিজের সঙ্গে ছিলাম। দলের হাইকমান্ড যখন নৌকা মনোনীত করেনি। এখন দলের মনোনীত প্রার্থী মাসুম আহম্মেদকে নৌকা প্রতীকে সীল মারবো এবং নৌকা প্রতীকে ইউনিয়নবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করছি।
এদিকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত বন্দর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল শেষে রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেছেন, নৌকার বিরুদ্ধে কোনো সড়যন্ত্র করলেই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌকা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এই হুশিয়ারি দেন তিনি।