নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনারেয়তনগর এলাকার আমিনুল ইসলাম ওরফে কালুকে (২৫) স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ২ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে পুলিশ তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। কালু হত্যার হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের ৪টি পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার প্রেমিক সহ ৪ জন।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীর, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদুল মহসীন ও আফতাবুজ্জামানের আদালতে পৃথকভাবে চার জনের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। আমিনুল ইসলাম কালুর হত্যারকারীরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নিশ্চিত করেছেন কোট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
নিহত কালুর বড় ভাই সামছুল হক বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ৩ মার্চ রবিবার রাতে নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম, তার পরকীয়া প্রেমিক পলাশ এবং তাদের দুই সহযোগী মাসুম ও ইমরানকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধ স্বীকার করেছে।
নিহত কালু নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগর এলাকার নাটাই মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশকে আটক করেছে। এছাড়া আরো ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম এক ব্যাচেলর ম্যাচে রান্না করতো। সেই সুবাদে রেজাউল করিম পলাশে সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া ও দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা রিক্তার স্বামী আমিনুল ইসলাম কালু টের পেয়ে যায়। এ নিয়ে রিক্তার সঙ্গে কালুর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে রেজাউল করিম পলাশ ও তার সহযোগিরা কালুকে অপহরণ করে সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক কাফুরদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পরে শনিবার সকালে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।