নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলায় মসজিদের ভেতর থেকে দিদারুল ইসলাম নামে ইমামকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বলছে ‘এটি একটি ক্লুলেস মার্ডার। এর জন্য সময় প্রয়োজন।’ বৃহস্পতিবার হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৩ আগস্ট সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সকালে নিহতের বড় ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁও থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, দিদারুল ইসলাম গত ২৬ তারিখ মসজিদে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পায়। এলাকায় কারো সঙ্গে বিরোধ তো দূরের কথা কারো সঙ্গে গভীর সম্পর্কও ছিল না। এটা একটি ক্লুলেস মার্ডার, এর জন্য সময় প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারা জানে না কে বা কারা তার ভাইকে হত্যা করেছে। তার ভাই ইমামতি করতো। ফোনে জানতে পারে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু তারাও কাউকে সন্ধেহ করছে না সেহেতু তিনি অজ্ঞাত আসামি করে ওই মামলা করেন। মামলার পর নিহতের স্বজনদের কাছে ইমাম দিদারুল ইসলামের লাশ হস্তান্তর করা হয়। সকালেই তারা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে স্বজনরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনও কোন ক্লু নেই। তবে আশার আলো দেখছি। আমরা তিনটি মোটিভ ধরে তদন্ত করছি। যার মধ্যে একটি হলো পারিবারিক কোন দ্বন্ধ আছে কিনা কিংবা তার সঙ্গে কারো ব্যক্তিগত বিরোধ আছে কিনা ও সে অন্য কোথাও থাকা অবস্থায় ধর্মীয় এমন কোন বয়ান করেছে কিনা, যা শুনে অন্য কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। যার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও আমরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে পারবো।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মল্লিকপাড়া এলাকার নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের একটি রুম থেকে দিদারুল ইসলাম নামে ইমামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিদারুল ইসলাম খুলনা রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে। গত ২৬ জুলাই থেকে তিনি এ মসজিদে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।