নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সারাদেশের ন্যয় হঠাৎ করে সোনারগাঁয়েও ছেলে ধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গুজব ঠেকাতে সোনারগাঁ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।
সারা দেশে এ গুজব নিয়ে কয়েকজনকে হত্যা ও পিটিয়ে আহত করার পর আজ রোববার সকাল থেকে পুলিশ হেডকোয়াটারের নির্দেশে এ মাইকিং চলছে।
সূত্রমতে, কিছু দিন যাবত পদ্মসেতু নিয়ে একটি গুজব ছড়াচ্ছে কুচক্রি মহল। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার করছে, পদ্মা সেতুর পাইলিং কাজ শেষ করা যাচ্ছে না এ জন্য মানুষের মাথা লাগবে।
সচেতন মহলের মতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এখনি কঠোর হাতে এসব দমন করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে নুতন আইন করে এইসব গুজব রটনাকারী, তাদের পেছনের কারিগর ও গণপিটুনির শাস্তি সর্বোচ্চ করতে হবে। তবেই পিছু হটবে ষড়যন্ত্রকারীরা।
মাইকিং করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ছেলে ধরা অপরাধ, গণপিটুনি জঘন্য অপরাধ। কিন্তু কিছু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাঁগ্রস্থ করতে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। আপনার এলাকায় যদি এসব গুজব কেউ ছড়ানোর চেষ্টা করে অথবা কোন ব্যক্তিকে ছেলে ধরা সন্দেহ হলে নিকটস্ত থানা অথবা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিতে সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আমরা ছেলে ধরা গুজব বন্ধ ও ছেলে ধরা ধরতে সোনারগাঁ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ও পৌরসভার মেয়রকে বলেছি প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, ছেলে ধরাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবেন না। কোন গুজবে কান দিবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আপনারা কাউকে সন্দেহ করলে পুলিশকে জানাবেন।
গতকাল রোববার দুপুরে ‘ছেলে ধরা’ গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন- একটি গোষ্ঠী এই ছেলে ধরাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। তাই গুজবে কান দিবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আপনারা কাউকে সন্দেহ করলে পুলিশকে জানাবেন।
জেলা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতশনিবার সিদ্ধিরগঞ্জে ৩০ বছরের এক যুবক গণপিটুনিতে মারা গেছে, সে বাক প্রতিবন্ধী ছিল। ছেলে ধরা বিষয়টি গুজব ছিল। ঐ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই গুজবে ফতুল্লায় একটি মহিলাকে মারপিঠের ঘটনাও গঠেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।