নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁওয়ে পরকিয়ার জেরে স্বামীর পরিকল্পনায় স্ত্রী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। এর আগে সোমবার রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন গোলাকান্দাইল এলাকার মরহুম সামসুল ইসলামের ছেলে আরজু মিয়া (৩৫) ও মরহুম নায়েব আলীর ছেলে গাড়ি চালক রাকিব হোসেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি গোলাকান্দাইলের নেওয়াজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর গাড়িচালক মো: রাজিব হোসেনের সনাক্তে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা জানান, নিহত গৃহবধূ মৌসুমীর সাথে রাসেলের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের এক ছেলের জন্ম হয়। দাম্পত্য জীবনে রাসেলের বিভিন্ন মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক হয়। এর প্রতিবাদ করায় রাসেল গত ১৯ এপ্রিল রাতে কৌশলে রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু গাড়ি চালক মো: রাজিব হোসেন ও পূর্ব পরিচিত আরজুদের সহযোগিতায় একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়িতে তুলে শ্বাসরোধে হত্যা করে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সিংলাবো এলাকায় লাশ ফেলে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য নিহত মৌসুমীর লাশ গাড়ি থেকে ফেলার আগে রাসেল ও তার সহযোগী আরজুকে দিয়ে আসামি শরিফুল ইসলাম রাসেল তার পিঠে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ডাকাতির নাটক সাজায়। জখম হওয়ার পর সে ভুলতা এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে নিহত মৌসুমী আক্তারের ভাই মো: শাহ জালাল সোনারগাঁও থানার মামলা করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কান্তি দে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মৌসুমী আক্তার হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত সোমবার রাতে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।