নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মোবারক হোসেন (৪০) নামের ১ ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের দুই সদস্যসহ ৩জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর ইউপির আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় ভোর দেড়টার দিকে।
নিহত মোবারক পিরোজপুর ইউপির প্রতাবেরচর গ্রামের হাজী ইয়াছিন মিয়ার ছেলে।
আটককৃত ডাকাতরা হলো উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ছয়হিস্যা গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার করিয়া গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার ছেলে বাবু (২০), উপজেলার ঝাউচর গ্রামের আমানউল্লাহ ছেলে বাবু ওরফে টেরা বাবু (২০), কাঁচপুর ইউপির সোনাপুর গ্রামের মৃত মজিবুর ড্রইভারের ছেলে মোঃ শরিফ (২৮), পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার আলী হোসেনের ছেলে রানা মিয়া (১৬), ও একই জেলার বাউফল থানার গুলবাগ গ্রামের মনির হোসেনের মোঃ হৃদয় (১৯)।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার পিরোজপুর ইউপির আষাঢ়িয়ারচর ব্রিজের পশ্চিমপার্শে একদল ডাকাত মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে একদল পুলিশে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশের উপর গুলি চালায় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৫ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ডাকাত দল পরাস্ত হয়ে পােলানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত মোবারক ও বাবুসহ মোঃ রহমত উল্লাহ, মোঃ বাবু ওরফে টেরা বাবু, শরিফ, মোঃ রানা ও মোঃ হৃদয় নামের আরো ৭ ডাকাতকে আটক করা হয়। ডাকাতদের সাথে গুলি বিনিময় কালে পুলিশের এসআই নারায়ণ চন্দ্র ও পুলিশ কনস্টেবল মুমিনুর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্য ও ডাকাতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত মোবারক মারা যায়।
নিহত ডাকাত মোবারকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁসহ বিভিন্ন থানায় ৮/১০টি মামলা রয়েছে।