নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: গত ৩ এপ্রিল রয়েল রির্সোটে মামুনিল হকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেফাজত নেতাকর্মিদের হামলায় ভাংচুর রয়েল রির্সোট, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ও পার্টি অফিস ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ৬টি দায়ের করা মামলায় আজ ও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শেখেরটেকের মাওলানা আশিকুল রহমান (২২), মজহমপুর এলাকার নুরে আলম (২০). কান্দারগাঁয়ের ফরিদ (৩৮), একই এলাকার ইয়াসিন (৪৪) ও রাকিব (২৫) দমদমা।
শুক্রবার রাতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামুনুল হক কান্ডের পর সোনারগাঁ থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির বাবা হাজী শাহ জামাল তোতা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং-১২
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রয়্যাল রিসোর্টে ভাংচুর মামলায় এজহারভুক্ত ১২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি গ্রমের আব্দুল কাদিরের ছেলে রাজু ও আবু রায়হান এবং মোক্তার হোসেনের ছেলে ইমরান, খাসনগর দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আকাশ। এর আগে রিসোর্টে হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁয়ের বাংলাবাজার এলাকা থেকে মো.মোস্তফা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক চলাকালে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে। এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের।
অপর মামলাটি করেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত স্থানীয় এস এ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তভূক্ত করা হবে। এ ঘটনায় এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।