নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: দিনে রাতে গ্যাস কোম্পানীর লোকদের ছত্রছায়ায় ও সেনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতা কারণে বছরে পর বছর অবৈধ ভাবে তিতাসের কোটি টাকা গ্যাস পুড়ে চালছিল সোনারগাঁও পৌরসভার দুলালপুর আবাসিক এলাকায় একটি অবৈধ চুনা ফ্যাক্টরী। অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ফ্যাক্টরী একদিকে লুটপুটে খাচ্ছে সরকারী কোটি টাকার গ্যাস সেই সাথে গতকাল চুনা ফ্যাক্টরীর ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মারা গেল স্কুল ছাত্র। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুনা ফ্যাক্টরীটির বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছেনা কোন পদক্ষেপ। বরং বিষয়টি আপোষ মিমাংশা করা জন্য লেগেপড়ে লেগেছে একটি পক্ষ।।
পৌরবাসী জানান, সোনারগাঁও পৌরসভার নোয়াইল গ্রামে মজিবুর নামের এক ব্যক্তি অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে রাতের আধারে অবৈধভাবে একটি আবাসিক এলাকায় ২ বছর ধরে চুনা ফ্যাক্টরী গড়ে তুলেন।ফ্যাক্টরীটি তৈরী করার পর কয়েকবার তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারপর এলাকার কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল মুজিবুর রহমান।
এলাকাবাসী আরো জানান , ফ্যাক্টরীটি গড়ে তোলার পর চুনের ডাস্ট উড়ে আশপাশের বাড়িঘরে উপর গিয়ে পড়ে।চুনের ডাস্টে আশপাশের মানুষ ও শিশুদের স্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া চুনার ফ্যাক্টরীটির আগুনের তাপে আশপাশে বসবাস করা দুস্কর হয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে আসছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক নির্বাহী সাইদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সোমবার দুপুরে ভেকু মেশিন দিয়ে চুনা ফ্যাক্টরীটি গুড়িয়ে দেয় এবং ফ্যক্টরীটির মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় ।
এরপর গত বছরের ২২ এপ্রিল তিতাসের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে চুনা ফ্যাক্টরীর অবৈধ গ্যাস সংযোগটি বন্ধ করে দেন। গ্যাস সংযোগের কয়েক দিনের মাথায় ফের চালু করা হয় চুনা ফ্যাক্টরীটি। এদিকে চুনা ফ্যাক্টরী স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার ব্যাপারে পৌরসভা থেকে কয়েকটি অভিযোগও দেয়া হয় ইউএনও অফিসে।
এদিকে চলতি বছরের জুন মাসে বকেয়া বিলের জন্য পৌরসভার একাংশের গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আন্দোলনে নামে বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা। পরে বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে এমর্মে মুচলেখা দিয়ে পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেয় তিতাস। সেখানে বলা হয় পৌরসভার সকল অবৈধ গ্যাস যাতে সংযোগ দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা। কিন্তু তারা তাদের শর্ত পুরনে ব্যর্থ হয়। তিতাস গ্যাস সংযোগ দেয়ার কিছুদিন পর পুনরায় চালু করা হয় দুলালপুর এলাকার অবৈধ চুনা ফ্যাক্টরীটি। স্থানীয় প্রশাসন, তিতাস কর্তৃপক্ষ ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চালু করা হয় চুনা ফ্যাক্টরীটি।সেখানে দিনে রাতে অবৈধভাবে কোটি টাকার গ্যাস পুড়লেও খবর রাখছেনা তিতাস কর্তৃপক্ষ।ফলে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে পড়ে চুনা ফ্যাক্টরীর মালিকরা। তারা দিনের আলোতে ট্রাকে করে চুনা আনা নেয়া চুন পোড়া শুরু করে বৈধ কারখানার মতো। এতে অবৈধ চুনা ফ্যাক্টরীর ট্রাকে পৃষ্ট হয়ে মারা যায় জুনায়েদ হোসেন নামের উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের গোপারবাগ গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে ও সনমান্দী হাছান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্র।
পৌরবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় সরকারের কোটি টাকা গ্যাস পুড়ে চুনা ফ্যাক্টরীটি কিভাবে চালায় মুজিবুর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আমরা চাই সরকার চুনা ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে কারখানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুক।
এ ব্যাপারে হোয়াসঅ্যাপে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম কে অবৈধ চুনা ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা? বা না নিলে কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চেয়ে ম্যাসেস করা হলে চাওয়া হলে তিনি কোন ম্যাসেসের কোন জবাব দেননি।