নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপনের বিরুদ্ধে বিচারের নামে ছেলেকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে বাবাকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা। তার ছোট ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র হাইয়াতুল ইসলামকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে কাউন্সিলর নাইম আহাম্মেদ রিপন ও তার লোকজন তাদের খানবাজার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা নাসির উদ্দিন ও আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বলে আপনাদের ছেলে কবুতর চুরি করে বিক্রি করেছে তাই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু আমার ছেলে কাছে কোনো কবুতর চুরি করেনি এমনকি তার কাছে কোনো কবুতর পাওয়া যায়নি। পরে আমরা কাউন্সিলরকে ২৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার সামনেই আমার স্বামী নাসির উদ্দিনকে হাত পা চোখ বেধে লাইট বন্ধ করে কাউন্সিলর ও তার সহযোগী মামুন মিয়া দুই দফা পিটিয়ে বেধরক মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করে এবং থানায় অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া ও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় তার স্বামীকে সোনারগাঁ উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপনের কাছে পুরো এলাকার লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছে। সে খান বাজারে আওয়ামীলীগের অফিসের নামে তার নিজস্ব কার্যালয় ব্যবহার করে একটি টর্চার সেল বানিয়েছেন। ওই টর্চার সেলে সাধারন নিরিহ মানুষদের বিচারের নামে তার বাহিনীর লোকজন অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তার নির্যাতনে অনেক নিরিহ লোকজন পঙ্গুত্ব বরন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপন মুঠোফোনে জানান, আমার কার্যালয়ে কাউকে মারধর করা হয়নি। শুধু মাত্র নাসির উদ্দিনের ছেলে কবুতর চুরির ঘটনায় তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। আমার কোনো লোকজন তাদের এলাকা ছাড়া করার কোনো হুমকি দেয়নি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, বিচারের নামে কাউকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো যায়না। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ, গত কয়েক বছর আগে পৌরমেয়র সাদেকুর রহমানের নির্দেশে মামুন নামের এক ছেলের মারামারি অজুহাতে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে রিপন কাউন্সিল। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে মামুন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে সুস্থ হন।