সেলিম আহমেদ প্রধান: মসলিন খ্যাত ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন প্রজম্মের কাছে দেশীয় জামদানি সম্পর্কে পরিচিতির জন্য বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে তিন দিনব্যাপী জামদানীর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষে আজ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকে জামদানি মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, জামদানি শাড়ি বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির গুণগতমান ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর) মেলা প্রাঙ্গণে তিনদিন ব্যাপী জামদানি মেলা আয়োজন করা হয়। মেলায় জামদানি শাড়ীর জন্য ২১ টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে একটি জামদানীর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সারাদেশ থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন প্রকার জামদানী শাড়ীর সাথে নকশি কাঁথা প্রদর্শন করা হয়। জাদুঘরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জামদানি মেলা ঘুরে দেখে তাদের পছন্দের জামদানি শাড়ি নকশি কাঁথা এবং জামদানি পাঞ্জাবি কিনে নেন তাদের পরিবার পরিজনদের জন্য।
জামদানি শাড়ি কিনতে আসা ঢাকার তাঁতীবাজারের গৃহিণী দিপারানী ধর জানান, গতকাল পত্রিকায় দেখলাম সোনারগাঁয়ে তিন দিনব্যাপী জামদানি মেলা শুরু হয়েছে। তাই আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় স্বপরিবার নিয়ে চলে এলাম। এখানে এসে দেখলাম বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন ডিজাইনের জামদানি শাড়ি রয়েছে। আমি অনেকগুলো দোকান ঘুরে আমার পছন্দের দুটি শাড়ি কিনেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া জামদানি শিল্পী আবু তাহের জানান, জামদানি মেলায় বিভিন্ন রকমের জামদানি শাড়ি শোভা পেয়েছে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করায় সোনারগাঁয়ে সকল জামদানি শাড়ি শিল্পী ও কারিগররা এতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। তাই ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ডিজাইনের দামি কম দামী সকল প্রকার জামদানি এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো কর্তৃপক্ষ এ মেলার আয়োজন করলেও মেলাতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় আজ পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ী অনেক জামদানি শাড়ি বিক্রি করেছে। এজন্য আমরা মেলা আয়োজক ও ক্রেতা প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তিনি আরো জানান, এভাবে যদি সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় এ মেলার আয়োজন করা হয় তাহলে নতুন প্রজন্ম জামদানির সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারবে। এতে আমাদের ব্যবসা ও দেশীয় শিল্পের প্রসার ঘটবে।