নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটক: ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ও ডেঙ্গু জ্বর ছড়ানো এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সারা দেশে ঝোপ জঙ্গল পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে লক্ষে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁও পৌরসভায়ও শুরু হয়েছে ঝোপজঙ্গল পরিস্কারের কাজ। পরিস্কারের অংশ হিসেবে প্রথমে সোনারগাঁও পৌর ভবনের সামনে থেকে আদমপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার ঝোপজার পরিস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে পৌরসভা। পৌরসভা এ ঝোপজঙ্গল পরিস্কারের নামে রাস্তার পাশে লাগালো প্রায় শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আর এ কাজের সরাসরি তদারকি করছে পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর জায়েদা আক্তার মনি। এ ভাবে ঝোপজঙ্গল পরিস্কারের নামে ফলজ গাছগুলোকে কেটে ফেলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্থানীয় পৌরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, পানাম নগরের ভেতরের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার আগে আমরা রাস্তার পুকুর পারে শখ করে বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ গাছ লাগিয়ে ছিলাম। সেখানে পর্যাপ্ত আলো -বাতাস থাকায় খুব তারাতারি গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। সেসব গাছ এখন প্রচুর পরিমানে আম, জাম, কলা, আমরকি, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন প্রজাতের ফল আমরা পাচ্ছি। এসব ফল আমরা নিজেদের চাহিদা পুরন করে বাজারেও বিক্রি করতাম। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ঝোপজার পরিস্কারের নামে মহিলা কাউন্সিলর জায়েদা আক্তার মনির নির্দেশে শ্রমিকরা রাস্তার পাশে শতাধিক গাছ ও গাছের ডালপালা কেটে ফেলেছে। তারা আরো বলেন, একটা গাছ লাগাতে ও বড় হতে অনেক সময় লাগে কিন্তু কাটতে সময় লাগেনা। পৌরসভার কর্তৃপক্ষ যদি এসব গাছ লাগাতো তাহলে কোন কথা ছিলে গাছগুলো স্থানীয় লোকজনদের তাদের উপেক্ষা করে তাদের খের খুশি মত গাছ কেটে ফেলবে এটা হতে পারে না। সময় এলে আমরা তাদের বুঝিয়ে দেব আমাদের লাগালো ফলজ গাছ কাটার ফল।
এ ব্যাপারে ঝোপজার পরিস্কার করা শ্রমিকর জানান, পৌরসভার নির্দেশে আমরা গাছগুলোর ডালপালা পরিস্কার করছি। তারা যে ভাবে বলেছে আমরা সেভাবে পরিস্কার করছি।
এ ব্যাপারে জায়েদা আক্তার মনি জানান, পৌরসভার মেয়রের পক্ষ থেকে রাস্তার পাশের ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু কোন ফলের গাছ কাটতে তো শ্রমিকদের বলা হয়নি। আমি অসুস্থ থাকায় কাজ পরিদর্শন করতে পারছিনা তবে আমি এখনই লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।