নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও পৌরসভায় ছিটানো মশা নিধনের ঔষধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পৈৗরবাসী। দিনের বেলা মশার ঔষধ ছিটায় অথচ সন্ধ্যা হলেই দলে দলে মশা এসে কামড়ায়। পৌরবাসী অভিযোগ করেন ঔষধ ছিটানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে মশা যদি নিধনের বদলে দলে দলে মশা এসে কামড়ায় তাহলে এত অর্থও সময় ব্যয় করে লোক দেখানো ঔষধ ছিটানোর অর্থ কি ?
পৌরবাসী জানান, এপ্রিল মে মাসে মশার বিস্তার রোধ করতে সারা দেশের শহর ও পৌরসভাগুলোতে নিয়মিত মশার ঔষধ ছিটানো হয়। সোনারগাঁও পৌরসভাও ঈদের আগ থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ঔষধ ছিটানো শুরু করে। এরআগে শীতকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরসভায় তাদের পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে ঔষধ ছিটানো হয়। কিন্তু ঔষধ ছিটানোর কয়েক ঘন্টা পরই দলে দলে মশা কামড়ানো শুরু করে। দিনে ঔষধ ছিটিয়ে চলে যায় সন্ধ্যায় ফের মশার উপদ্রব শুরু হয়। মশার যন্ত্রনায় ঘরে বসা যায় না। পৌর কর্তৃপক্ষ এতো অর্থ ও সময় ব্যয় করে ঔষধ ছিটানোর পর যদি মশা না মরে তাহলে সেই ঔষধ ছিটিয়ে লাভ কি ? এমন প্রশ্ন প্রত্যেকটি পৌরবাসীর। এ সময় তারা ছিটানোর ঔষধের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
দিঘীরপার গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, পৌরসভার লোকজন এসে ঈদের পরের দিন আমার বাড়িতে মশার ঔষধ ছিটিয়ে গেছে। ভেবে ছিলাম মশার উপদ্রব থেকে একটু রক্ষা পাবো। কিন্তু বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা শুরু হতেই দলে দলে মশা ঘরে প্রবেশ করতে থাকে। দলে দলে মশা দেখে আমার বিশ্বাসই হচ্ছে যে আজ দুপুরে পৌরসভা থেকে মশার ঔষধ ছিটিয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার চৌদনা গ্রামের রবিউল হুসাইন জানান, সোনারগাঁও পৌরসভা বছরে ২ বার মশা নিধনের ঔষধ ছিটানোর কাজটি করে। শীতের সময় একবার আবার এপ্রিল ও মে মাসে। এপ্রিল ও মে মাসে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে করে এসিড মশার লার্ভার বিস্তার ও মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। এসময়টাতে যাতে মশার প্রকোপ বেড়ে না যায় সেজন্যই মুলত মশার ঔষধ ছিটানো হয়। কিন্তু সোনারগাঁও পৌরসভা গত ২ বছর ধরে যে মশার ঔষধ ছিটায় সে ঔষধে মশা মরছে না। ঔষধ ছিটানোর উদ্দেশ্য হলো মশার লার্ভা ও প্রজনন ঠেকানো ও মশা নিধন। কিন্তু সেই কাজটাই যদি না হয় তাহলে এতো অর্থব্যয় করে ঔষধ ছিটানোর দরকারই কি। এ ব্যাপারে তিনি মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও পৌরসভার সচিব সামসুল ইসলামের বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি এব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।