নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়রের হাতে নির্যাতিত নসিমুল চালক জামালই বাঁচিয়ে দিলো মেয়র সাদেকুর রহমানকে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নির্যাতিত জামালের বাবা ও বড় ভাই গিয়ে মেয়রের উপর তাদের কোন অভিযোগ নেই উল্লেখ করে জিম্মা নামায় সই করে ছাড়িয়ে আনেন নির্যাতিত পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে। মেয়র একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে গতকাল গভীর রাতে সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনারগাঁও গোয়ালদি এলাকার মেয়রের বাসা থেকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র সাদেকুর রহমানকে নেয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে সাদেকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। পরে নির্যাতিত জামালের বাবা খবিরউদ্দিন ও ভাই কামাল হোসেনকে ডেকে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।তাদের সাথে কথা বলেন পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। সেখানে জামালের বাবা ও ভাই জানান, যা হওয়ার হয়ে গেছে তা নিয়ে এখন দুঃখ করে কি লাভ। মেয়র মুরুবী মানুষ তিনি নানান রোগে অসুস্থ ওনার উপর আমাদের অভিযোগ নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেব না। তাদের বক্তব্র শুনার পর মেয়রকে মানবিক দিক বিচেনা করে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের সামনে সোনরাগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান তার গাড়ীতে আঁচল লেগেছে এ অভিযোগে নসিমুন চালক জামাল ও ছোট ভাগিনা নির্যাতন বেদম পিটিয়ে আহত করে। আহত জামাল ও তার ভাগিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সকালে তাকে জিঞ্জেসাবাদের জন্য নেওয়া হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে নির্যাতিত জামালের বাবা ও ভাইকে ডাকা হয় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে তারা জানান, নির্যাতিত মেয়রের উপর তাদের কোন ক্ষোভ ও কোন অভিযোগ নেই এবং তারা মেয়রের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ ও নিবেন না। পরে মেয়রকে বয়সের দিকে চিন্তা করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারনে মুচরেখা দিয়ে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।