নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ জি. আর ইনস্টিটিউশনের মূল ফটকের সামনে স্থাপিত নাম ফলক ইস্যু এখন সোনারগাঁয়ের সর্ব মহলের প্রধান আলোচনার বিষয়। গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে কে বা কারা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক ও সীমানা প্রাচীর উদ্বোধনের এ ফলকটি ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় শুরু হয় তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদ। উদ্বোধক হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের নাম ছিল ফলকটিতে। যেদিন ফলকটি ভাঙ্গা হয় ওই দিন জাতীয় পার্টির স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে জি.আর ইনস্টিটিউশনের অভ্যন্তরে একটি মত বিনিময় করেছিলেন। তাই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ অভিযোগের তীর ছুড়েছেন সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার দিকে। তারা বলছেন লিযাকত হোসেন খোকা নিজে দাড়িয়ে থেকে এ ফলক ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি ও জেলা জাতীয় পার্টি লিখিত ভাবে এ অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি লিয়াকত হোসেন খোকা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন এ ব্যাপারে বিবৃতিও দিয়েছেন। অপরদিকে এ ঘটনায় সোনারগাঁ ও নারায়ণগঞ্জে একাধিক প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ। সবকিছু মিলে ফলক ভাঙ্গার ইস্যু এখন টক অফ দ্যা নারায়ণগঞ্জ।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়ে বিরোধে জড়াচ্ছেন। নাম ফলক ভাঙ্গার পক্ষে দাড় করাচ্ছেন নানা কারণ। কেউ বলছেন আগের নাম ফলক অসম্পূর্ণ ছিল বানানও ভুল ছিল তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা ভাঙ্গা হয়েছে নাম ঠিক করার জন্য তবে এ কথা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবী করছেন প্রতিবাদকারী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বোধনী ফলকের বানান ভুল নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। তারা বলছেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন ভুল বানানের ফলক স্থাপন করা হবে? শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কি শিখবে? এখানে আগের ফলকটিতে শুধু জি.আর লেখা ছিল জি.আর এর আগে সোনারগাঁ ছিল না আর ইনস্টিটিউশনের জায়গায় লেখা ছিল ইনিষ্টিটিউশন দুটিই ভুল ছিল। কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ভাঙ্গা নাম ফলক সরিয়ে নতুন নাম ফলক স্থাপন করেছে এটাতেও ধরা পড়েছে কিছু ভুল সুতরাং কোন ভাবেই বির্তক পিছু ছাড়ছে না এ নাম ফলকের। নতুন নাম ফলকে গেইট বানান লেখা হয়েছে গেট। তাছাড়া জেলা পরিষদকে কোন স্পেস না দিয়ে এক সাথে লেখা হয়েছে জেলাপরিষদ। নতুন নাম ফলকে অক্ষরের বিন্যাসে অসামঞ্জস্যতা স্পষ্ট। এখানে অক্ষর উঁচুনিচু হয়ে আছে সুবিন্যস্ত নেই। তাছাড়া এ নাম ফলকে ইংরেজি ও বাংলার মিশ্রন দেখা গেছে যেটা আগের নাম ফলকেও ছিল। যেমন নতুন নাম ফলকে লেখা হয়েছে মেইন গেট ও সীমানা প্রাচীর । প্রথম মেইন গেট কথাটি ইংরেজি শব্দ পরের সীমানা প্রাচীর বাংলা শব্দ। এক্ষেত্রে মেইন গেট না লিখে লেখা যেত প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীর। এক্ষেত্রে দুটিতেই বাংলার ব্যবহার হতো। আর যদি ইংরেজি লেখার এতই প্রয়োজন হতো সেক্ষেত্রে লেখা যেত গেইন গেইট ও বাউন্ডারি ওয়াল এখানে দুটিই ইংরেজি। বিষয়গুলো নিয়ে স্থানীয় সুধী সমাজেও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এ বিতর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখার অপক্ষোয় সাধারণ মানুষ।