নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: পূর্বের ন্যায় বাাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লোকজ মেলা দর্শনার্থীদের জন্য ৫টার পর বিনামুল্যে মেইন গেইট দশনার্থীদের জন্য খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা এবং মেলায় বরাদ্ধ নেয়া দোকানদারা। এদিকে ৫টার পর মেইন গেইট খুলে না দেয়ার কারণে মেলায় দর্শনার্থী হচ্ছে না বলে মনে করেন মেলার দোকানদাররা।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, সোনারগাঁও জাদুঘরে মাসব্যাপী মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে বিকেল ৫টার পর দর্শনাথীদের জন্য মেইন গেইট খুলে দেয়া হতো। এতে স্থানীয় মেলা দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বিনামুল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারতেন। বিকেল ৫টার পর বিনামুল্যে মেলায় প্রবেশ করার ফলে স্থাণীয় অনেক দর্শনার্থী হতো মেলা প্রাঙ্গনে। এতে মেলায় অধিক লোকের সমাগমে মেলা মিলন মেলায় পরিনত হতো। এতে লোকজ মেলা ফিরে পেতো মেলার আসল রূপ। অপরদিকে মেলায় দোকান বরাদ্ধ নেয়া দোকানদারা অতিরিক্ত দর্শানার্থীদের কারণে মেলায় বেচাকেনাও ছিলো বেশী। এখন বিকেল ৫টার পর দর্শনার্থীদের বিনামুল্যে প্রবেশ করতে না দেয়ায় লোকজ মেলায় হচ্ছে না দর্শনার্থী। ফলে মেলা হারিয়েছে তার আসল রূপ ও ঐতিহ্য। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে মেলায় দোকান বরাদ্ধ নেয়া দোকানদারা।
মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষক দিপু জানান, তিনি তার পরিবারের ১০জন সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে ৫টার দিকে লোকজও মেলার ঘুরতে এসেছেন কিন্তু মেলায় প্রবেশ মুখে মুল ফটকে তাদের আটকে দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে বলেন। এসময় তিনি তাদের বলেন সবসময় তো মেলা চালাকালীন সময়ে বিকেল ৫টার পর দর্শনার্থীদের জন্য জাদুঘরের মেইট গেইট বিনামুলে খুলে দেয়া হতো। তাহলে টিকেট কেন নিবো? প্রশ্নের জবাবে মেইট গেইটে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, আগের নিয়মকানুন সব বাদ হয়ে গেছে এখন ৫টার পরিবর্তে বিকেল ৬টায় মেইন গেইট খুলে দেয়া হয়। টিকেট নেয় নয়তো গেইট ছেড়ে বাহিরে অপেক্ষা করেন বলে জানান নিরাপত্তা কর্মীরা। তখন তিনি চিন্তা করেন এখন বাজে ৫টা। এতোগুলো লোক নিয়ে ১ঘন্টা অপেক্ষা করা সম্ভব না। পরে তিনি বাধ্য হয়ে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে টিকেট সংগ্রহ করে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি ক্ষোভ নিয়ে জানান, আমরা স্থাণীয় দর্শনার্থী। ঐতিহ্যগত ভাবেই আমরা মেলায় পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় ঘরতে আসি। কিন্তু কৃর্তপক্ষ নতুন করে প্রবেশ টিকেট মুল্যে যেমন অকারনে বাড়িয়েছে আবার মেলায় প্রবেশও একঘন্টা বাড়িয়ে ৬টায় করেছে। এখন শীত ও গরমের মাঝামাঝি সময় ৬টা মানে সন্ধ্যা। আর সন্ধ্যার সময় মেলায় লোকজন আসে না। এটা দর্শনার্থীদের মেলার বিমূখ করা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে মেলায় দোকান বরাদ্ধ নেয়া এক দোকানদার জানান, মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি লোকজ মেলায় অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু এবার মেলা একটু ব্যতিক্রম। এখানে দেশীয় হস্তশিল্প ছাড়া কোন দোকান বরাদ্ধ দেয়া হয়নি সেজন্য মেলায় অনেক দোকান বরাদ্ধ হয়নি। পরে কর্তৃপক্ষ সেগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে। তাতে মেলার পরিপূর্নতা হারিয়ে। মেলা মানে অনেক মানুষের সমাগম থাকবে বাহারী রকমের দোকান। এবার কর্তৃপক্ষ দোকানদের মেলায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার উপর মাসব্যাপী মেলায় সবসময় ৫টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বিনামুল্যে প্রবেশের জন্য মেইন গেইট খুলে দেয়া হতো। কিন্তু এবারই প্রথম ৬টার পর করা হয়েছে। সেজন্য মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমে গেছে। আবার টিকেট মুল্য বেশী হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে কিছু লোক হলেও স্থাণীয় লোকজন প্রবেশ করেছে না বিধায় মেলাও জমছেনা। ফলে সারাদিন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। দোকান দিয়ে প্রতিদিন যে পরিমান অনুসাঙ্গিক খরচ হয় সেই খরচের টাকাও তুলতে পারছিনা। এভাবে চললে আগামী মেলায় অংশ গ্রহন করবো না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল হোসেন জানান, মেলার সময় সুচি নির্ধারন করা হয় আমাদের অফিসের সময়নুযায়ী। আগে মেলা