নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক পঙ্খিরাজ খালটি এখন ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণে খালটি এখন সরু নালায় রূপ নিয়েছে। এক সময় স্রোতস্বীনি এ খালটি পুরো সোনারগাঁ পৌরসভার পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ ছিল। বর্তমানে খালটির বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও দখলের কারণে খালটিতে পানি প্রবাহ নেই বললেই চলে। সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীর শাখা মেনিখালীর সাথে এ খালের সরাসরি সংযোগ ছিল। খালটি উদ্ধবগঞ্জ এলাকার ভট্টপুর দিয়ে ঐতিহাসিক পানাম নগরে প্রবেশ করেছে। এক সময় এ খাল দিয়েই দেশি বিদেশি বণিকরা পানাম নগরে যাতায়াত করতো।
বর্তমানে আশপাশের গ্রামের মানুষ ও স্থানীয় হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে এখন অতিষ্ঠ খালের পাড়ের বাসিন্দারা। খালে পানি নিষ্কাশন না থাকায় বর্ষা মৌসুমে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পুরো পৌরবাসী।
সরেজমিন খালটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উদ্ববগঞ্জ এলাকায় এ খালের উপর নির্মিত সেতুটির নিচে পাশের হোটেল থেকে প্রতিদিন উচ্ছিষ্ট খাবার ও আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন না থাকায় এসব আর্বজনা পঁচে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ খালটির সাথে সোনারগাঁয়ের অনেক ইতিহাস জড়িত। ধীরে ধীরে খালটি হারিয়ে যাচ্ছে। খালটি এখন ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা লেখক হাজী মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, পঙ্খিরাজ খালটি একটি অনেক পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী। খালটিকে ঘিরে অনেক ইতিহাস রয়েছে। এ খালটি উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়ন জুড়ে বিস্তৃত। বর্তমানে কিছু লোক খালটি কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে এর কারনে খালটি মৃতপ্রায়। অপরদিকে, খালে পানি না থাকার কারনে স্থানীয়রা ময়লা ফেলে ময়লার ভাগারে পরিনত করেছি। আমরা খালটি পুনরুদ্ধারের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্মারক লিপি ও মানববন্ধন করেছি। কিন্তু প্রশাসন খালটি উদ্ধারে চোখে পড়ার মত কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় আমরা হতাশ।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আল মামুন বলেন, আমি খালটি সর্ম্পকে অবগত নই। তবে খালটি দখলমুক্ত ও ময়লার ভাগার পরিস্কার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।