নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (জাদুঘর) এর সাবেক পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ অসামাজিক কার্যকলাপের সময় স্থানীয় জনতারা এক নারী সহ আটক করেছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে যাদুঘরের ডাক বাংলোর ভিতরের একটি কক্ষ থেকে রবীন্দ্র গোপ ও এক নারীকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। নারী ও রবীন্দ্র গোপ ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও এসব কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দায়িত্ব পালন কালে তার অফিসের পিছনেই একটা বেডরুম তৈরি করেন। যেখানে নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাদুঘরের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রাতে রবিন্দ্র গোপের বড় ছেলের শশুর মারা গেছে। এ সংবাদ পেয়ে তার ২ ছেলে ও নাতিরা সেখানে চলে যায়। এ সুযোগে রবিন্দ্র গোপ সকালে একটি মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় ডাক বাংলোতে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়ে। দীর্ঘ সময় মেযেটি ডাকবাংলো থেকে বের না হওয়ায় তারা সেখানে গিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপের সময় হাতে নাতে রবিন্দ্র গোপকে আটক করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বেলা ১১টার দিকে ২৪ বছর বয়সী এক নারী যাদুঘরের সাবেক পরিচালক রবিন্দ্র গোপের গাড়ী চালক বুলবুল হোসেন ও রশিদ মিয়ার সহযোগিতায় ডাক বাংলোর কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে আগে থেকেই রবিন্দ্র গোপ অবস্থান করেছিল। ভিতরে প্রবেশের পরেই তারা দরজা বন্ধ করে দেয়। তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের সময়ে বাহিরে লোকজনের অবস্থান টের পেয়ে সাবেক পরিচালক রবিন্দ্র গোপ এর সহযোগিতায় ওই নারী কৌশলে পকেট গেইট দিয়ে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের হাতে ধরা পরে।
গত ১৭ মে বাংলাদশে লোক ও কারুশল্পি ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়। এদিনে থেকে অতিরিক্ত পরিচালক মো: খোরশদে আলম দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরে গত ৩ জুন বিসিএস প্রশাসনের উপ-পরিচালক ড. আহমদ উল্লাহ প্রেষণে বাংলাদেশ লোক ও কারুশল্পি ফাউন্ডেশনের পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন।
এর আগে দায়িত্ব থাকা রবীন্দ্র গোপ গত ১০ বছর আগে যাদুঘরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এর পর সরকারের আশীর্বাদে কয়েক দফায় চুক্তি নবায়ন করে তিনি ১০ বছর পার করে দেন। তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনো সরকারি বাংলোতে বসবাস করে আসছেন।
খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ডাক বাংলো থেকে রবিন্দ্র গোপ ও মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।