নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ সরগরম হয়ে উঠে সোনারগাঁও পৌরসভা। আবার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চতায় হঠাৎ করে থমকে গেলে সেই পৌরসভা। প্রার্থীরা থেমে গেছে যে যার অবস্থানে। প্রার্থীরা আশা করে ছিলেন ৪র্থ ধাপের পর ৫ম ধাপে হয়তো অনুষ্ঠিত হতে পারে পৌরসভা নির্বাচন কিন্তু অনেকে মতে ৫ম ধাপ বলতে কিছু নেই। গত ১৪ জানুয়ারীর দিকে তাকিয়ে ছিল পৌর মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলর ও পৌর ভোটাররা কিন্তু সব কিছুর হিসেব নিকেশ অবশেষে এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন কবে নাগাদ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে সোনারগাঁও পৌরসভা।
পৌরবাসী সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সকল পৌরসভার নির্বাচন। এ ঘোষনার পর গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয় সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়াদ। সকলে আশা করেছিল পৌরসভার নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবার আগেই হয়তো শুরু হবে পৌর নির্বাচন। সে লক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমে গণসংযোগ শুরু করে। কেউ গণসংযোগ কেউ উঠান বৈঠক কেউ আবার মনোনয়নের আশায় দৌড়ঝাপ শুরু করেন কেন্দ্রে। এ দিকে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের হাফ ডজন প্রার্থী মেয়র পদপ্রার্থী হন। অপরদিকে, সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা প্রার্থী করেন তার সহধর্মীনিকে। এছাড়া বিএনপি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন একজন মেয়র প্রার্থী দেয়ার ঘোষনা দেন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে শুরু ভোটারদের মন জয় করার প্রতিযোগিতা। আবার নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয় প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কথোকথন। কে কাকে কি বলে ঘায়ের করবে সে প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মীনি ডালিয়া লিয়াকতকে প্রার্থী ঘোষনার পরই শুরু হয় এ প্রতিযোগিতা। তবে সব হিসেব নিকেশ শেষ হয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারী। সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না হওয়ার মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। তবে কি কারনে নির্বাচন হতে পারে আবার না হতে পারে সে বিষয় নিয়ে চলে বিভিন্ন ধরণের যুক্তিতর্ক। কেউ বলেছেন পৌরসভার একটি অংশ অথাৎ ছোট শিলমান্দি মোগরাপাড়া ইউনিয়নে চলে যাওয়ার পর শোভন গ্রুপ একটি মামলা করেছিলেন সে মামলার কারণে নির্বাচন না হওয়ার সম্ভবনা বেশী। অন্যরা জানান, শিলমান্দি মোগরাপাড়া ইউনিয়নে চলে যাওয়ার পর নতুর করে একটি গ্রেজেট করার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু উপজেলা প্রশাসন তা না করায় সীমানা গ্রেজেট সমস্যার কারনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই নেই।
তবে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সেখানে লিখা রয়েছে মামলা চলমান। এরবেশী কিছু সেখানে লিখা নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না হবে না সে বিষয়ে কোন কিছু জানাতে পারেন নি।