নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: রাত তখন ১:২৪ মিনিট, পুরো পৌরবাসী এমনকি পশুপাখি তখন ঘুমে বিভোর। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পুরো সৌরসভাসহ আশপাশের এলাকা। বিকট শব্দের ভয়ে আতংকে ঘুম ভেঙ্গে আতংকিত হয়ে পড়েন অনেকে। কি হলো হঠাৎ করে। কয়েক মিনিটিনের মধ্যে বুঝা গেল এ আওয়াজ অন্য কিছুর নয় এটা আতঁশবাজির শব্দ। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে রয়েল রির্সোটে আনন্দ বিনোদনের জন্য আনন্দের সমাপ্তি টানতে আতঁশবাজির আয়োজন করা হয়। শেষ রাতের দিকে আতঁশবাজি ফুটিয়ে সাধারণ মানুষের ঘুমের বেঘাত ঘটানোকে নাগরিক অধিকারের পরিপন্ত্রী বলে মনে করেন সুশীল সমাজের লোকজন।
জানাগেছে, গতকাল বুধবার রাতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এলাকার জৈনিক হাজী সাহেবের ছোট মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দিঘিরপাড় রয়েল রির্সোটে আয়োজন করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যা থেকে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে রাত দেড়টার দিকে ১৫/২০ ধরে আতঁশবাজির ফুটানো হয়। রাতের শেষের দিকে হঠাৎ করে আতঁশবাজির বিকট শব্দে অজানা এক আতংকে ঘুম ভেঙ্গে যায় পৌর বাসীর। অনেক শিশুরাও ঘুমের মধ্যে ভয়ে কাঁদতে থাকেন। এসময় পাশে থাকা পিতামাতারা শিশুর কাঁন্নায় আতংকিত হয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে দিঘিরপাড় গ্রামের ব্যক্তি জানান, অনুষ্টান করার অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের আছে। কিন্তু মধ্য রাতে আতঁশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ করে নাগরিক অধিকার খর্ব করার অধিকার কারো নাই। একজন সুস্থ মস্তিকের মানুষ রাত দেড়টার সময় আতঁশবাজি ফুটিয়ে মানুষের ঘুম নষ্ট করতে পারে না। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এ ব্যাপারে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে বলে করেন তারা।