নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। এখনও অনেকে গরু কিনছেন। সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো চলছে গরুর বেচাকেনা। আর কোরবানির পশু জবাই করা ও মাংস কাটার জন্য বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি, হুগলা (চাটাই), কাঠের গুড়ি বেশি প্রয়োজনী। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ইতোমধ্যে এসবের নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্থা, পিরোজপুর নিউটাউন, কাঁচপুর, সাদিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ওই দৃশ্য। ছাতা মাথায় দিয়ে পশু জবাইয়ের জন্য ও মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় তৈজশপত্র নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবছর এসব জিনিস পত্রের দাম অনেক বেশি বলে দাবি কয়েকজন ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা বলছেন মানভেদে দামও ভিন্ন।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কাঠের গুড়ি ও হুগলা বিক্রেতা কামাল জানান, কাঠের গুঁড়ি সব থেকে ছোট যেটি সেটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। আর সব থেকে বড় গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর কিছু ক্রেতা আরো বড় গুঁড়ির জন্য অর্ডার দিচ্ছেন সেগুলো ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। এছাড়াও ৪ বাই ৫ হাতের একটি হুগলা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর ৩ বাই ৪ হাতের একটি হুগলা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, এখন গরু কেনার সাথে এসব জিনিস পত্রের খুব চাহিদা। এসব জিনিস পত্র বেশি বিক্রি হয় ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত। আবার ঈদের দিনও। তাই সবাই আগে থেকেই দোকান নিয়ে বসেছে।
একই জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ছুরি, দা, চাপাতি, বটি সহ লোহার বিভিন্ন সামগ্রী। ওইসব দোকানেও একই অবস্থা। নেই ক্রেতা তারপরও আগে থেকেই ভ্রাম্যমান দোকান নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতা আমির উদ্দিন বলেন, আকার ভেদে একটি ছুরি সর্বনি¤œ ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দা ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা ও বটি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত ধরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, হোগরা কাঠের গুঁড়ি যখন ক্রেতারা নিবেন তখনই এসব জিনিস পত্র বিক্রি হবে। অনেকে আবার আগে থেকেই কিনে রাখে। দামও এবার তেমন বেশি না।
১২০ টাকা দিয়ে হুগলা ক্রেতা আয়ুব আলী বলেন, গতবার ৩ থেকে ৪ হাতের একটি হুগলা ৮০টাকা দিয়ে কিনেছি এবার সেটা ১২০ টাকার কম বিক্রি করে না। সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কাঠের গুঁড়ি কিনবো মাঝারী সাইজের সেটাও দাম চায় ৭০০ টাকা। কম বিক্রি করলেও ৫০০ টাকার নিচে রাজি হবে না।
বিক্রেতা সোহেল বলেন, দাম বেশি না। মূলত আকার অনুযায়ী প্রতিটি জিনিসের দাম ভিন্ন আছে। যার কম দামী প্রয়োজন তিনি কমদামি নিতে পারেন। এখন দাম কম আছে যখন চাহিদা বাড়বে তখন দামও কিছুটা বেড়ে যাবে।