নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁ উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় করেন হাজারো দশনার্থী। দর্শনার্থীদের পথচারনায় মুখোরিত হয়ে উঠে বিনোদন কেন্দগুলো। কিন্তু করোনার কারণে উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেই দর্শনার্থীদের ভীড় নেই। নেই কোন লোকের আনাগোনা। প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্নপ্রান্থ থেকে হাজারো দর্শনার্থী আসেন সোনারগাঁয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীরা না আসায় ক্ষতির মুখে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ও বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের ব্যবসায়ীরা। যারা এ বিনোদন কেন্দ্র উপর নির্ভর করে তাদের জীবন নির্বাহ করতেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ শে মার্চ সারা দেশের সকল অফিস আদালতসহ সকল কিছু বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই সাথে দেশের সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো করোনা সংক্রমণের কারণে সরকার বন্ধ ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ঈদুল ফেতর চলে আসে। সরকার মানুষের জীবন জীবিকার ঈদের মার্কেট গুলো খুলে দিলেও সাধারণ ছুটির এখনো বহাল রেখেছে। সেই সাথে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়। ঈদের ছুটিতে প্রতি বছরই সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, জামপুর পেরাবো এলাকার বাংলার তাজমহল ও পিরামিড, সোনারগাঁও রয়েল রির্সোট ও পানাম নগরীতে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। কিন্তু করোনার কারণে বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কারণে ও লক ডাউন থাকায় কোন দর্শনার্থীর আগমন ঘটেনি। অন্যান্য বছর দর্শনার্থীদৈর চাপে আশ পাশের এলাকার রাস্তাগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো। কিন্তু এবার নেই সেই চিরাচরিত রূপ। নেই কোন মানুষের কলোহর। বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আশপাশে জনমানবহীন শুন্য। তবে বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীরা না আসায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্রগুলো ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোর উপর নির্ভরশীল কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, প্রায় ৩ মাস ধরে সোনারগাঁয়ে কোন দর্শনার্থী প্রবেশ না করায় বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সকল প্রকার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে তাজমহল ও পিরামিডের পরিচালক উজ্জল ভুইয়া জানান, সরকারের ঘোষনার পর গত মার্চ ২০ তারিখ থেকে বন্ধ রেখেছি। গত ৩ মাসে আমার দুটি প্রতিষ্ঠানে ১০৭ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিমাসে তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা বেতন দিতে হয়। তাজমহল ও পিরামিড বন্ধ থাকায় সব কিছু মিলিয়ে দুটি বিনোদন কেন্দ্রে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।