• রাত ১০:১৬ মিনিট শুক্রবার
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁয়ে প্রাথমিকে অনলাইন বদলী আবেদনে অনিয়মের অভিযোগ জামপুরে ৪টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে বাবুল ওমরের নির্বাচনী প্রচারনা সভা সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে করোনা যোদ্ধাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যার চেষ্টা সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত সোনারগাঁ জাদুঘরে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা সোনারগাঁয়ে মোটর সাইকেলে বেড়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ ঈদে গরীবের ভাগ্যেও জুটছেনা ছাডি মাংস ঈদে গবীরের মাংসের বদলে ভরসা ছাডি মাংস সোনারগাঁ উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামাতের সময় সুচি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ের বাংলা বাজারে ঈদের জামাত আদায় সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস কিনতে না পেরে মুরগী কিনতেও নাজেহার গরীর মানুষ সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া সোনারগাঁয়ে আলোর পথ সমাজ কল্যাণ সংস্থার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ সোনারগাঁয়ে ইট ভাটায় হামলা গাড়ি ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫। সোনারগাঁয়ে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম সোনারগাঁয়ে সাংবাদিক ও সুধী জনের সন্মানে জাগো সোনারগাঁও২৪.কমের ইফতার
বেশ্যার ফুলশয্যা (ছোট গল্প)

বেশ্যার ফুলশয্যা (ছোট গল্প)

Logo


বিজলি বুঝতে পারছিল না, কে সেই মালিক, যার সাথে আজ ওকে রাত কাটাতে হবে। সেই যে অন্য লোককে পাঠিয়েছে ওকে নিয়ে আসার জন্য, আবার এখন ও আসছে না কেন সে?

বেড রুমটায় একা বসে বিজলি, একজন এসে কফি দিয়ে যেতেই, প্রশ্ন করে -“আচ্ছা উনি কি খুব ব্যস্ত? তবে এত তাড়াতাড়ি আমায় আনলেন কেন? সেই আধ ঘন্টা হলো। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল।”

অল্প কথায় উত্তর দেন মেয়েটি -“বাবু আসলেই ব্যস্ত মানুষ, জানি না কেন তাড়াতাড়ি আনলেন। আজ বাবুর সন্ধ্যেবেলা বক্তৃতা আছে। হয়তো আর শেষ প্রায়। তাড়াতাড়ি ফিরবেন উনি।”

বেরিয়ে যায় মেয়েটি। ল্যাহেঙ্গার ওড়নাটা আর একবার ঠিক করে বিজলি। মাথার রজনীগন্ধা’র উগ্র গন্ধটা সন্ধেবেলার ওর বিছানাটার কথা মনে করিয়ে দেয়। এসময় ওর ঘরে কাস্টমার থাকে।
তিনতলা বাড়িটার তিনতলায় এখন বিজলি। ঘরের সব কিছুই প্রায় মূল্যবান। আর একপাশে রাখা বইয়ের একটি বড়ো আলমারি।
সেদিকে এগিয়ে যায় বিজলি। এক কালে বড্ড ভালোবাসতো উপন্যাস পড়তে, গল্প পড়তে।

বই গুলো তালা বন্ধ, কিন্তু কাঁচের ওপাশে নামগুলো স্পষ্ট দেখা যায়,অবাক হয় বিজলি, নামগুলো ঠিক এমন -“নিষিদ্ধপল্লীর রাঁধা” , “রাঁধার প্রতিশ্রুতি” , “অপরাধী রাঁধা”, বেশিরভাগ গল্পের নাম রাঁধা দিয়ে কেন?..আর রাঁধা নামটা তো….
এই নামটা ওকে অনেক ভাবায়!অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়।

লেখকের নামটা বুঝতে চায় বিজলি। কি নাম ?
কিন্তু ওর ছদ্মনাম টাই দেওয়া আছে -‘অবহেলিত চাতক’ নামটা।
কি ভাবনার একটা নাম সত্যিই!কিন্তু কে ইনি?

তারপর তার পাশে সাজানো পুরুস্কার গুলো চোখে পড়ে, সব লিখবার জন্য, তারমানে এটা কোনো লেখকের বাড়ি?
কিন্তু কে?
…….
কিছু ভাবার আগেই পিছনে ডেকে ওঠে কাজের মেয়েটি, বাবু আপনাকে পাশের ঘরে ডাকছেন।”

-“এসেছেন উনি?”..প্রশ্ন করে বিজলি। তারপর হাত – ব্যাগ থেকে লিপিস্টিক’টা বের করে আর একবার গাঢ় করে লাগিয়ে নেয় সেটা, লাল গোলাপ পাপড়ির মতই লাগছে এবার।

ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরটার দিকে যেতে থাকে বিজলি।
ভারী পর্দাটা সরিয়ে অবাক হয়, বিছানা’টা গোলাপ দিয়ে সাজিয়েছে। আর রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে উপর নীচে সাজিয়েছে, নিচে গোলাপ পাঁপড়ি, ঠিক যেন ফুলশয্যার খাট!.
হাসি পায় বিজলীর, ফুলশয্যা ওর কপালে নেই, আজ সেটারই আনন্দ নিবে তবে।

মালিক কোথায়?
চেয়ে দেখে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে এক যুবক, জানালার বাইরে অন্ধকারে তারার দিকে চেয়ে।একটা হাত দেওয়ালে দেওয়া, গভীর মনোযোগ দিয়ে বাইরে চেয়ে, হয়তো ওর আসার শব্দ ও পায়নি।

হাত-পা বেশ ফর্সা, মুখটাও তবে সুন্দর হবে,ভাবে বিজলি। পরনে কোর্ট আর প্যান্ট পড়া কালো রঙের।

বিজলি জানে ওর কাজ, এখনই ওকে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতে হবে। আসলে অনেক কাস্টমার’ই  সেরম রোমান্টিক সেক্স করতে চায়।

এসব ওর মুখস্থ, সবাই তো আর সোজা জামা প্যান্ট খুলে সেক্স চায় না, অনেকে চায় প্রেমিক-প্রেমিকার মতো করে রোমান্টিক অনুভূতি।

দৌড়ে যায় বিজলি, ওকে জড়িয়ে ধরবার আগেই ছেলেটা হাত ওপরে করে বলে -“কেমন আছিস এখন রা….,সরি বিজলি…”

থমকে যায় বিজলি। ও ওর পুরোনো নাম বলতে গিয়েছিল,আর স্বরটা চেনা চেনা লাগছে। কে ইনি?

বিজলি প্রশ্ন করে -“আপনি কে?”..

যুবক ঘুরতে থাকে, ধীরে-ধীরে। চেনা সেই পুরোনো মুখটা, সেই অনেক আগের সেই মুখ, যাকে পায়ে ঠেলে রেখে এসেছিল!
ফর্সা মুখটা,আর লম্বাটে,যত্নে কাটা চাপ দাড়ি, আর প্রশস্থ দুটো নয়ন।

-“তু… তুই অনুভব?”….থেমে যায় বিজলি’র স্বর।

-“হ্যাঁ রে আমি অনুভব। চিনতে পারলি তবে?”

উত্তর দেয় না বিজলি। বিস্ময় আর লজ্জা সেই চোখে। আর ক্ষমা চাওয়ার মিনতি।

তারপর নরম সুরে বিজলি বলে -“কেন পারব না বল। তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য কোনো যে সুযোগ পাব,আমি ভাবতেই পারিনি।”

-“ওসব ছাড় বিজলি। তোর খবর বল।” বলতে থাকে অনুভব।

বিজলির করুন গলা -“আগের নামে ডাক না আজ! অনেকদিন কেউ ডাকেনি জানিস!”..

বিদ্রুপের হাসি হাসেন অনুভব -“কোন নাম রে? ওই বিনুনি করা হাসিমুখের মেয়েটা,যার নাম রাধা?”

-“হ্যাঁ রে, ডাক না আমার রাধা নাম…

ওকে আটকে দেয় অনুভব -“সে তো তুই নস রে রাধা! সে যে আমার রাঁধা ছিল। সেই রাধা তো অনেক আগেই ধ্বংস হয়েছে। যেদিন নতুন একটা ভালো বড়লোক কৃষ্ণ পেল সেদিনই তো সেই রাধা মরে গিয়েছিল!”

কাঁদতে থাকে বিজলি ওর কথা গুলো শুনে, তারপর বলে -“সত্যিই আমি তোকে দূরে সরিয়ে দিয়ে মূল্যবান জিনিস হারিয়েছি অনুভব। তুই তো গল্প কবিতা লিখতিস, সেই পুরোনো স্টাইল, স্যার ম্যাডাম বাদে ছাত্ররাও ডাকতো – লেখক মশাই বলে। কত সুন্দর কবিতা ও লিখতি আমার জন্য! আমি পাগল ছিলাম তোর জন্য! কিন্তু যেদিন একটু বড়ো হলাম , সব যেন বুঝতে শিখলাম -তুই একটা যেন অপদার্থ, যার কোনো নতুনত্ব নেই, সেকেলে কবির ভাব, আর তুই সেই কোন অজপাড়াগাঁয়ের ছেলে, ক-জন বা তোর গল্প পড়বে? হয়তো জীবনে তোর লিখা ও ছাপা হবে না! কি হবে তোকে ভেবে!.তাই তো শহরে ছেলে মৈনাককে বাছলাম। ”

চোখ বন্ধ করে থাকে অনুভব -“কি হলো তারপর? কত সুখে ও তোকে ভরিয়ে দিলো?”

চোখের জল গড়াতে থাকে বিজলী ওরফে রাধা’র -“অনেক সুখ দিলো জানিস! প্রেমের নামে এই পল্লীতে নিয়ে এলো, আমি এখন অনেক লোকের রাতের রজনীগন্ধা!…আচ্ছা অনুভব, তুই এখানে? আর শুনলাম বক্তৃতা ছিল, কিন্তু কিসের? আর কিকরে আমার খবর পেলি?”

হাসেন অনুভব -“সবই বিধাতার খেল রে! তুই জানিস কি রাধা, মেয়েরা যখন কোনো ছেলেকে একা করে আসে, তখন কত কষ্ট হয় ওর? না বুঝবি না রে! তোরা হলি স্বার্থপর!বোকা ছেলে ভেবে আমার মন নিয়ে খেললি কেন? মেয়েরা ছেলেদের মনে ফিলিংস এনে দেয় ভালোবাসার, যেটা ওরা বুঝত না সেটাই ওদের বোঝায়।আবার ফেলে ও চলে আসে! কেন আসে বল একটা মেয়ে, একটা ছেলের জীবনে? অগোছালো জীবন তো, থাক না!কেন গুছিয়ে ফেলে আসে, তখন তো আবার বহুগুণে অগোছালো হয়ে যায়!..
জানিস কি, যখন কোনো মেয়ে ফেলে রেখে এসে ফোন লিস্ট এ ব্লক করে, কথা বলে না, চুপ থাকে, কত কষ্ট হয় এই বুকে! মরে যেতে ইচ্ছে হয় প্রতিটা খনে! আর জানিস কি কত কষ্ট হয়, যখন মেয়েটা বলে -ভালো থাকিস, অনেক ভালো মেয়ে পাবি আমার থেকে, তখন কত কষ্ট হয় রে! না জনবি কি করে বল?..বড্ড কষ্ট হয় রে! “

চোখের কোনে জলটা চিক-চিক করে ওঠে অনুভবের।
রাধা ও চোখের জলটা” মুছে নেয় -“তারপর?

-“অনেক কষ্টে ঠিক হয়েছি রে রাধা।হাত কেটে রক্তে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম প্রতিটা রাত!মরে যেতে ইচ্ছে করছিল!যদি না সঠিক বন্ধু পেতাম। আর তারপর নতুন হয়ে গেলাম। প্রথম যে বইটা বন্ধুদের সহায়তায় প্রকাশনী’তে দিলাম-‘রাঁধা কথা রাখেনি’ ওই গল্পটা অনেক হিট হলো, ওই গল্পটার সিনেমা ও হয়েছে জানিস….আর সরি রে, আমার সব গল্পে তোর নামটা নিয়েছি,তোকে না বলেই, কয়েকটা গল্পে তুই নায়িকা, কিন্তু বাকিগুলোতেও তোর নামটাই দিয়েছি। জানিস কত জায়গায় এই প্রশটাই করে -কে এই রাধা? আপন কেউ?কোথায় ইনি?…আজ ও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম। কিছু বলতে পারিনি, শুধু বলি – সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে!জানতাম না তুই কোনো পল্লীতে”

হাসেন রাধা -“সত্যিই আমি ভাগ্যবান, এত কিছুর পরেও তুই আমার নামটা ফেমাস করেছিস। কিন্তু দেখ আমি’ই সেটা জানি না!আর তুই আজ অনেক বড়ো নামি-দামি লোক ।আচ্ছা এখানে কিভাবে আমার খোঁজ পেলি?”

-“এখানে আসার পরেরদিন আমার বন্ধু জোর করে নিয়ে যায় পল্লীতে। চুমকির ঘরে সর্বোচ্চ রেড ওয়ালা বিজলীর ছবি দেখেই অবাক হই। ভাবলাম আরো কিছু বেশি দিয়ে তোকে একটা রাতের জন্য নেব।”

-“আচ্ছা তুই বিয়ে করিসনি রে?”…প্রশ্ন করে রাধা।

-“না রে। কিন্তু হ্যাঁ ঠিক হয়ে আছে।”..তারপর আর একটু চুপ থেকে অনুভব বলে -“আচ্ছা তোর এই কথাটা শুনে কি আগের মতোই রাগ হয় রে? এখন ও কি কেউ আমাকে হ্যান্ডসাম বললে তোর অভিমান ,ভয় হবে আমার জন্য? এইযে আমার বিয়ের খবর শুনলি-তোর কি দুঃখ আর রাগ হলো। এখনই কি বলবি – গলা টিপে খুন করবো কারো দিকে চাইলে…

কান্নার গতিটা বাড়তে থাকে রাধা’র -“অনেক আগেই তো নিজেই সেটাকে ভেঙে এসেছি রে! বড্ড ইচ্ছে করছে রাগ দেখাতে, সত্যিই রাগ হচ্ছিল শুনে-কিন্তু কে আমি? আগে তো আমাকে নিয়ে কবিতা লিখতিস,আর আমায় পড়ে শুনাতিস। একটা দিন এসেছিল ,যখন নিজেই বলেছিলাম – তোর ওসব ন্যাকামো অন্য কাউকে দেখাস ,তোকে নিয়ে বাঁচতে পারব না আমি!তুই সেকেলে!!….তারপর ফুঁপিয়ে কাঁদলো রাধা -আজ একটা অনুরোধ করবো?..

-“বল?@

-“আমায় নিয়ে একটা কবিতা বলবি আজ?. সবার প্রিয় লেখক”.বলেই করুন নয়নে চেয়ে থাকে রাধা।

বলতে থাকে অনুভব -…. আমি তোমার বড্ড সেকেলে!
কিন্তু একবার যদি হাতটা রাখতে,
বুঝতে পড়তে তুমিই আছো মনের গহীনে।

তুমি আজ আর তো আমার নেই,
বড্ড বাজে ভেবে রাখলে আমায় দূরেই,
আর হারালাম আমি জীবনের খেই!

তুমি ছুটলে নতুনত্বের পথে,
নতুন কোনো ভালোলাগার খোঁজে,
তুমি  আজ রাতের রজনীগন্ধা’ সাজে!

তুমি তো আজ আমার নওকো আপন,
তুমি থাকো আমার হয়ে স্বপন
তাতেই আমি খুশি থাকি রোজ ,
বাজে ছেলের ভালোবাসা যে দোষ!…

নীরব থাকে অনুভব। দূরে চেয়ে থাকে বিজলী।
তারপর চোখের জল মুছে বলে -“এই খাট সাজিয়েছিস কেন?”..

-“তোর হয়তো মনে নেই, অনেক আগে বলেছিস আমার সাহস নেই তোকে ফুলশয্যার খাটে নিয়ে শুতে, আজ সেটাই করব।”..

তারপর বিজলিকে জড়িয়ে ধরে অনুভব। বিজলি নিজেকে ওর হাতে সমর্পণ করে দেয়, অনুভব হিসেবে না কাস্টমার হিসেবে জানে না বিজলি।

অনুভব নিজের দেওয়া কথা ফেলেনি, সাজানো খাট এ ওকে নিয়ে মিলিত হয়।
……..
তারপর রাতে ওকে গাড়িতে করে পল্লীতে দিতে যায়, -“বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে রে রাধা?”..বলতে থাকে অনুভব।

রাধা নিরুত্তর -“আগে করতো রে। ওই পুকুরের জলে কচু পাতা থেকে টুপ-টুপ জল পড়া অনেকদিন দেখতে ইচ্ছে হত, ওই গ্রাম্য পথ! তারপর চুপ হয়ে যায় রাধা ..এখন আর ফিরতে ইচ্ছে করে না, সমাজে কেউ আমায় আপন করবে না রে! আমি বিশ্বাস ঘাতক ,তার সাজা আমি ভোগ করি একটা জীবন!.
আর বাবা-মা তো নেই, বড়ো হবার আগেই বিদায় হয়েছে। কাকু কি এতটা আপন বল? আর আমার কবি’কে তো নিজেই ফেলে এসেছি, যে আমায় সত্যিই ভালোবাসতো।”..

গাড়ি থেকে নামে বিজলি, সামনে বিল্ডিং ওদের নিষিদ্ধ পল্লী, বৃষ্টি পড়বে-পড়বে ভাব, আকাশ অন্ধ্যকার।

-“আর কোনওদিন দেখা হবে কি অনুভব?”..

-“হয়তো বা হবে, হয়তো বা হবে না, উত্তর দেয় আনমনা অনুভব।

রাধা ওর গাড়ি স্টার্ট দেবার অপেক্ষা করছে, তারপর ও ঘরে যাবে।

মুখ ফিরায় অনুভব -“টেক কেয়ার ‘ রাধা। ভালো থাকিস,,নিজের খেয়াল রাখিস। আমি জানি এখন আর কেউ তোকে সে কথা বলবার নেই।

গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে যায় অনুভব, বিজলীর চোখে জল ,অনেক আগে অনুভবকে বলা কথা গুলো মনে দলা পাকাতে থাকে -“তোর বলতে হবে না টেক কেয়ার। আমাকে বলার লোক আছে, মৈনাক আমার সব খেয়াল রাখবে।”..

বৃষ্টি শুরু হয়েছে ততক্ষনে। ভিজতে-ভিজতে গাড়িটা বিদায় হতে দেখে বিজলি , মনে নেই ও ভিজছে, হয়তো এই গাড়ির লোকটির সাথে কোনওদিন ওর দেখা হবে না জীবনে!
বৃষ্টি তার ভারী পর্দা দিয়ে চতুর্দিক অন্ধ্যকার করে দেয়।???????
সংগৃহীত


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution