নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন ও বালু মহাল বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। গত ২৬ নভেম্বর প্রশাসক ও ২৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর এ ডিও লেটার প্রদান করেন।
ডিও লেটারে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর আনন্দবাজার ও নুনেরটেক এলাকা থেকে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল মেম্বারের নেতৃত্বে নজরুল, আল-আমিন ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নেী-চাঁদাবাজরা নুনেরটেক এলাকার মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে ৮/১০টি শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে রাতদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। আনন্দবাজার এলাকার মেঘনা নদীর ইজারাদারাও তাদের পয়েন্টে বালু উত্তোলন না করে রাতের আধারে নুনেরটেক(মায়াদ্বীপ) এলাকায় তীর ঘেষে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ১৮ হাজার লোকের জন বসতী দ্বীপটির পৈত্রিক বসত ভিটা নদী গর্ভের বিলিন হচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ওই দ্বীপের মানুষগুলো গরীব ও অসহায় হওয়ায় আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার রাস্তা ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নুনেরটেকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থা কাজ করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় সংস্থা গ্রলো আগ্রহ হারাচ্ছে। যে কোন সময় সোনারগাঁয়ের মানচিত্র থেকে বিলিন হয়ে যেতে পারে বারদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডটি। তাই জন সার্থে অবৈধ বালু মহাল বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
সুত্র জানায়, গত বছর বালু মহালের ইজারা শেষ হওয়ার পর বৈদ্যেরবাজার এলাকার চিহিৃত বালু খেকো কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী রোবায়েত হোসেন শান্ত, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবীর হোসেন, তার শালা ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রকি, আমির হোসেনসহ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে আনন্দবাজার ঘেঁষে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট
পরিচালনা করেও বন্ধ করতে বাধ্য হন। পরে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আনন্দবাজার বালু মহাল ইজারা দেন। বালু মহাল ইজারা দেয়ার পর বালু খেকোরা প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে বালু লুট অব্যাহত রাখে।অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে নুনেরটেক ও আনন্দবাজার এলাকার কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে
বিলিন হয়ে গেছে। পরে বৈদ্যেরবাজার ইউপি সদস্য বাছেদ মেম্বার, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, আক্তার মোল্রা ও নুনেরটেকের দেলোয়ারসহ শতাধিক লোক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার কাছে নালিশ করেন। পরে লিয়াকত হোসেন খোকা তাৎক্ষনিক তার ব্যক্তিগত সহকারীকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি ডিও লেটার দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে একজন নিহত হন।