নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলার আমান ইকোনোমি জোনের আমার সিম নামের আমান সিমেন্ট খাচ্ছে সোনারগাঁয়ে মুল্যবান রাস্তাঘাট। প্রতিদিন আমান গ্রুপের দুই শতাধিক সিমেন্টের ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে উপজেলা গুরুত্বপূর্ন মোগরাপাড়া থেকে হাসপাতাল গেইট, টিরপদী থেকে শহীদমজনু পার্ক ও হাসপাতাল গেইট থেকে হাড়িয়া পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও পিচ খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা এসব রাস্তা দিকে নজর না দেওয়া দিনে দিনে নাজুক হয়ে পড়েছে এসব রাস্তাঘাটগুলো।
জানাগেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আমান সিমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। সোনারগাঁয়ে কিছু দালালের মাধ্যমে হাড়িয়া এলাকায় কিছু জমি কিনে বালু ভারাট শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে প্রতিষ্ঠানটি জোড় পূর্বক অন্যের জমি ও সরকারী খাস জমি ও নদীর ভরাট করে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। ওই সময় এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আমান সিমেন্ট কোম্পানীটি আমান ইকোনোমি জোনের পরিনত হয়ে নিজেদের ইচ্ছা মতো অন্যের জমি খাল-বিল ভরাট করে রাতারাতি আমার ইকোনোমি জোন নির্মান শুরু করে। ইকোনোমি জোন তৈরী করার মতো অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট না থাকার পরও এক হিসেবে জোড় পূর্বক ভাবেই ইকোনোমি জোনটি তৈরী করা হয়। বর্তমানে এ জোনে আমান সিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে বাকিগুলি চালুর পথে। এ প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক ট্রাক ও লরি মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্রান্ডট্যাংক রোড় ও পৌরসভার টিপরদী সড়ক হয়ে হাড়িয়া ইকোনোমি জোনে প্রবেশ করে। এসব ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপথের কোন অনুমতি না থাকার পরও আমান ইকোনোমি জোনের দোহাই দিয়ে চলাচল করছে। ফলে এ সড়কগুলোতে দেখা দিয়ে বড় ফাটল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তা ফেলে ঢালু হয়ে পিচ উঠে গিয়ে কয়েকটি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ পথে চলাচলরত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের হাজার হাজার পর্যটকসহ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার যাত্রী ও সাধারণ যানবাহন চলাচলে দিনে দিনে অযোগ্য হয়ে পড়ছে এ রাস্তাগুলো। এছাড়া ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। তবে, সোনারগাঁবাসী অভিযোগ করেন জনপ্রতিনিধিদের এ সব রাস্তাগুলোতে দৃষ্টি না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে, মাস দুয়েক আগে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার বাশ টানিয়ে আমান ইকোনোমি জোনের ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বন্ধ করার দুদিন পরই অজ্ঞাত কারণে সেই বাশ সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কবি এসএস জগৎ বলেন, সোনারগাঁয়ে গত বছর ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে কাইকারটেক বৈদ্যেরবাজার ও পানাম পর্যন্ত রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়। কিন্তু আমান ইকোনোমি জোনের দুই শতাধিক ট্রাক চলাচল করে বছর না ঘুরতেই রাস্তাগুলি ফাটল ধরে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
উদ্ধবগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী বিপ্লব জানায়, আমান সিমেন্টের ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তীতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারিয়ার কবির জানান, আমান সিন্টের ভারী যানবাহনের ফলে আমাদের সড়কগুলো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব রাস্তা সংস্কারের জন্য আমরা লিখিত ভাবে আমান সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।