নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: মোগরাপাড়া চৌরাস্তার জামে মসজিদের খতিব ও সোনারগাঁ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন মনে করেন মাদকের নিয়ন্ত্রনের কন্টোল ইমামদের হাতে দিলে আমাদের বিশ্বাস সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে। সেজন্য তিনি পুলিশের সাথে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশের সাথে ইমামদের সম্পৃক্ততা চান। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে আমরা পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে পুলিশকে, রাজনীতিবিদদের ও জনপ্রতিনিধিদের মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনি তখন আমরা হাসি।মাদক নির্মূলে তারা সবাই যদি কাজ করতো তাহলে দেশে এতো মাদক কিভাবে প্রবেশ করে। অথচ আমরা যারা মাদকের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলি তারা কারণে অকারনে মাদকের সাথে আপোষ করি। অনেক মানুষকে বলতে শুনি যারা দিনে মাদক নির্মূলের কথা বলেন তারা রাতে মাদক সেবন করে ঘুমাতে যান তাহলে বলেন সমাজ থেকে কোন দিন মাদক নির্মুল সম্ভব হবে? হবে না সেজন্য ইমামদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের সোনারগাঁয়ে ৫শত মসজিদ আছে প্রত্যেক মসজিদে শুক্রবারে কয়েকশত মুসলিø নামাজ পড়েন। নামাযের আগে বয়ানে যদি ইমাম সাহেবরা মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে সমাজ থেকে অবশ্যই মাদক নির্মুল সম্ভব।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোরের নিয়মিত আয়োজন আলাপন অনুষ্ঠানে মত বিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন আরো বলেন, আজ সমাজে সর্বত্র ধর্ষনে আক্রান্ত। অথচ হাদিস কোরআনের আলোকে দেশ ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনা করা হতো তাহলে ধর্ষণের মতো ব্যাধী এতো বিস্তার করতো না। তিনি জানান সমাজে তিনটি কারণে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে একটি হচ্ছে নারীদের বেহাপনা চলাফেলা, উপযুক্ত সময়ে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়া ও কোরআনের আলোকে ধর্ষণকারীকে শাস্তির বিধান করা। এ তিনটি জিনিস যদি রাস্ট্র সমাজ নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সমাজ থেকে ধর্ষণ থাকবে না। মহানবীর ব্যঙ্গ চিত্র নিয়ে মহিউদ্দিন খাঁন বলেন, নবীজীর আমলেও নবীকে ব্যঙ্গ করার অনেক মানুষ ছিল। পৃথিবীতে কিছু মোনাফেক কুচক্রি মহল মুসলমানদের অস্থির করার জন্য পৃথিবীর শান্ত পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ঔসকানীমুলক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। আসল কথা হলো সারা পৃথিবী ইসলামের দিকে আগাচ্ছে। আর সেজন্য কুচক্রিমহল সুকৌশলে এগুলো করছে। কিন্তু সেজন্য নবীজির পাগল মানুষগুলো নবীর ভালবাসায় পাগল হয়ে সারা পৃথিবীতে বিক্ষোভে ফেটে উঠেছে। আর কেয়ামত পর্যন্ত তারা নবীর প্রেমে পাগল থাকবে।