নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মো: ইছহাক মিয়ার সনদ বাতিলের উপর ৬ মাসের স্থগিত আদেশ দিয়েছে হাইকোট। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এবিএম হাসান এবং রুহুল আমিনের দৈত বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের (জামুকা) দেয়া সনদ বাতিল আদেশের উপর শুনানী শেষে ইছহাক মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের উপর ৬ মাসের স্থগিত আদেশ দেন। সেই সাথে ৬ মাসের তার সকল ভাতা ও আনুসাঙ্গিক আর্থিক সুবিধা বহাল থাকবে বলেও নির্দেশ দেন। এর আগে চলতি মাসের ১৯ তারিখে জামুকা’র দেয়া তার সনদ বাতিলে যে নিদেশ দেয়া হয় সেটা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোটে একটি আবেদন করেন মো; ইসহাক মিয়া। তার আবেদনের শুনানী এ আদেশ দেয়া হয়।
গত জুন মাসের ১৯ তারিখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ৩৫ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনের ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই গেজেট বাতিল করেন।
এর মধ্যে রয়েছে সোনারগাঁয়ে বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু জাফর এবং সোনারগাঁ উপজেলা সনমান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইসহাক মিয়া।
গেজেট বাতিলকৃত প্রজ্ঞাপন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যায়।এছাড়া আরো যে ৩৫ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল হয়েছে তারা হলেন-পাবনার মো. ইসরাইল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইয়াকুব আলী, মো. ।
নারায়ণগঞ্জের মো. আবুল কালাম, আব্দুর রহমান, মো. আলী হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. লিয়াকত আলী, মো. আলী, আব্দুল বাতেন, মো. ইছাক মিয়া, মো. নূর মোহাম্মদ মোল্লা, মো. গিয়াস উদ্দিন, খন্দকার আবু জাফর, মো. কামাল হোসেন ও মো. শফিকুর রহমান বেপারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটও বাতিল হয়েছে।
গত ৭ জুন প্রথম ১১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে তালিকায় এই ৩৫ জনের নাম প্রকাশ করল মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২ জুন এক হাজার ২৫৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক মিয়া জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সনমান্দি ইউনিয়নে ১৯৭১ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করি। পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করি। বিশেষ করে লাঙ্গলবন্দ যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করি।বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছাড়াই ২০১৭ সালে জামুকা’য় অভিযোগ করে। বিগত ৫০ বছরে ৫ বার গেজেট করে মুক্তিযোদ্ধ যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রতিবার আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হই। তারপর এ চক্রটি আমাকে ভুয়া হিসেবে আখ্যা দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি মহামান্য হাইকোট আমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আমাকে একজন প্রকৃত মৃক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিবে।