করােনা সংক্রমণের কারণে গত বছর বৈশাখী উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি। এ বছরও করােনা ভাইরাস ও রমজান মাস শুরু হওয়ায় সোনারগাঁয়ে পালিত হচ্ছে না বৈশাখী উৎসব। তবে আয়ােজকরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর ব্যাপক ভাবে উদযাপন করা হবে।
ছ’দফার ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ অত্যন্ত প্রবল ছিল৷ ১৯৬৮ বা ১৯৭০ সালে প্রথম পহেলা বৈশাখ উৎযাপন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। রমনার বটমূলে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান ধীরে ধীরে সারাদেশেই ছড়িয়ে পরে। কয়েক যােগ ধরে এই দিবসটিকে কেন্দ্র করে মেলা, শােভাযাত্রাসহ নানা আয়ােজন করা হচ্ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলাতেও। প্রতিবছর এই সময়ে মঙ্গল শােভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের নানা অনুষঙ্গের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে হাতপাখা, মাছ, প্রজাপতি, লােকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে পালকি, ঘােড়া, হাতি, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনসহ বাঘ ও প্যাঁচার ছােট – বড় হরেক রঙের বিভিন্ন মুখােশ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পর করতাে চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উপজেলা প্রশাসনের উদোগে একটি শোভা যাত্রার আয়োজন করেন। পরে ভট্টপুর প্রাইমারী স্কুলের পাশে বটমুলে মেলা ও গান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চৈত্রক্রান্তিক মেলার আয়োজন করে। তবে গত বছরের ন্যায় এবারও করোনার কারণে উদ্যোগ নেই সেই মেলা ও শোভাযাত্রার।
সোনারগাঁ চারুকলার শিল্পরা জানান, করোনার কারণে গত বছর আমরা বৈশাখের অনুষ্ঠান পালন করতে পারেনি এবারও মেলা ও বৈশাখের আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তবে বেঁচে থাকলে আগামী আগের মতো বৈশাখের সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।