নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: গাড়ীর গতি কমিয়ে দূর্ঘটনা রোধে সড়কে দেয়া হয় স্পিড ব্রেকার (আইল্যান্ড)। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনারগাঁয়ের কিছু কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা রাস্তার চেয়ে অতিমাত্রার উচু যত্রতত্র স্পিড ব্রেকারের কারণে দূঘর্টনা রোধের চেয়ে দূর্ঘটনা ঘটছে বেশী। তাই এসব অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার উঠিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা ও গাড়ীর চালকরা।
জানাগেছে, সোনারগাঁ উপজেলা একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ন জনবহুল এলাকা। এখানে রয়েছে ঐহিত্যবাহী পানাম নগরী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাংলার তাজমহল, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার শরীফ, পাঁচ পীরের মাজারসহ অসংখ্য ঐহিত্যবাহী স্থাপনা। এছাড়া বর্তমানে সোনারগাঁ’কে শিল্প নগরী এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে একদিকে পুরোনো রাজধানী ঐহিত্য বহনকারী একটি প্রাচীন জনপদ। অপরদিকে, শিল্পাঞ্চল নগরী এলাকা হিসেবে ঘোষনা করায় একটি একটি শিল্পায়ন এলাকা হিসেবে পরিচয় বহন করছে। ফলে ঐতিহাসিক সোনারগাঁ হিসেবে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিনই কয়েক হাজার পর্যটক আসেন সোনারগাঁয়ে। এছাড়া শিল্পনগরী ঘোষনা করার পর থেকে সোনারগাঁয়ে কয়েকটি ইকোনোমিক জোন ছাড়াও গড়ে উঠেছে কয়েকশত বড় ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব কারণে সোনারগাঁ এখন একটি জনবহুল এলাকা হিসেবেও রূপ ধারণ করছে। এসব লোকের যাতায়াত ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনের জন্য এখানকার রাস্তাঘাট গুলো গুরুত্ব অনেক বেশী। সোনারগাঁ রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় এখানকার প্রধান সড়কগুলোর প্রতি সরকার যত্মবান হলেও দেখা গেছে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় লোকেরা প্রভাব খাটিয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলোর উপর যত্রযত্র নির্মাণ করেছে স্পিড ব্রেকার। এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রসা, স্কুল-কলেজ ও ব্যক্তি মালিকানা বাড়ীর সামনে নির্মাণ করা হয়েছে যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার।এ ক্ষেত্রে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় ওই সড়ক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য স্পীড ব্রেকার। যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। স্পিড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পিড ব্রেকারগুলো।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ রাস্তাটি সংস্কার করছে। কিন্তু মোগরাপাড়া থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত এত টুকু সড়কে প্রায় ২০টিরও বেশী স্পিড ব্রেকার তৈরী করা হয়েছে। এ স্পিড ব্রেকার গুলোর উচ্চতা এত বেশী যে বেশী দামী প্রাইভেটকারগুলো স্পিড ব্রিকারের সাথে লেগে যায় ও মালবাহি ভারী যানবাহনগুলো স্পিড ব্রেকারে কারনে অনেক সময় ঝাকুনীতে চাকার পাত ছুটে গিয়ে প্রায় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গত ১৫ দিনে এ রোডে ২০টিও বেশী দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চালকরা। এতে কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ীর চালক আহত হয়েছে বিকল হয়েছে কয়েকটি গাড়ী।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের প্রকৌশলী ওয়াদুল্লাহ বলেন, ব্যস্ততম সড়কে যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার দিলে দূর্ঘটনা এড়নোর চেয়ে দূর্ঘটনা আরো বেশী হারে ঘটে। কিন্তু স্থানীয় লোকেরা প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাধ্য করে স্পিড ব্রেকার নির্মান করতে।