নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে খারিজের পর নারায়ণগঞ্জ–৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে এবার জজ কোর্টে নালিশ দাখিল করেছেন একই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত। তবে, এখনও আদালতের আদের্শর অপেক্ষায় রয়েছে কায়সার হাসনাত ও তাঁর অনুসারীরা।
গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই নালিশের আবেদন করেন। ওই আবেদনে ৫০ কোটি টাকার মানহানীর অভিযোগ আনা হয় লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জসিম উদ্দিন জানুয়ারি সন্ধ্যায় বলেন, ‘লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে জজ কোর্টের কাছে পুনরায় নালিশ দাখিল করা হয়েছে। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছেন। এখন আমরা আদেশের অপেক্ষায় রয়েছি।’
সম্প্রতি এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার একটি বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে কায়সার হাসনাতের পক্ষে সোনারগায়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। সেই সাথে তারা ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে ছিলো এমপি খোকাকে। এমপি খোকার পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আদালতে গিয়ে ছিলেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত।
গত ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানীর মামলার আবেদন করেন কায়সার হাসনাত। বিকালে আদালত অভিযোগটি ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে কায়সার হাসনাত উল্লেখ করেন, ১৯৭০ সালে দাদা মরহুম সাজেদ আলী মোক্তার সাধারণ নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন। চাচা মরহুম মোবারক হোসেন ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন। আর মা মৃত মমতাজ বেগম জীবদ্দশায় ছিলেন সোনারগা থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সোনারগাঁও ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। তিনি নিজেও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন। এ অবস্থায় লিয়াকত হোসেন খোকার ‘মিথ্যা ও কুৎসামূলক বক্তব্যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক সুনামসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার সমমূল্যের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।’ যা দন্ডনীয় অপরাধ।