নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সপ্তাহ খানেক চলা অব্যাহত যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রী ও গাড়ী চালকরা। মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুর উঠা নামার পথে সংযোগ সড়কের কাজ করায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কারণে ও অতি দাবদাহের কারণে যানজটের অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মহাসড়কের এ যানজট শাখা রাস্তাগুলোতে প্রভাব ফেলছে ফলে মহাসড়কের পাশাপাশি শাখা রাস্তাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রাও।
জানা গেছে, আগামী ঈদের আগে মেঘনা ও গোমতি সেতু উদ্ধোধন করার চিন্তা করছে সরকার। এজন্য তারাহুরা করে একটি সড়ক বন্ধ রেখে আরেকটি সড়কের কাজ করছে ব্রিজ নির্মান কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কাঁচপুর সেতু চলাচলের জন্য খুলে দিয়েও পুরোনো সেতুর সংস্কার কাজ করায় সপ্তাহ খানেক ধরে মহাসড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচপুর সেতুর ও মেঘনা সেতুতে উঠানামার জন্য চারটি লেনের মধ্যে দুটি লেন বন্ধ করে দিয়ে রাস্তার সংস্কার কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ফলে অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে মেঘনা সেতুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এবং মেঘনা সেতু থেকে বাউশিয়াঘাট ও সোনারগাঁ উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যানজটের কবলে পড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা। প্রতিদিনই যানজটের কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক ঘন্টা অপচয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকার জ্বালানী। হাইওয়ে পুলিশ দিন রাত মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে হানিফ পরিবহনের চালক আফজার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন মহাসড়কে যানজটের কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে ৬/৭ ঘন্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের একদিকে যেমন সময় অপচয় হচ্ছে অপরদিকে নষ্ট হচ্ছে জ্বালানী। এছাড়া যানজটের কারণে নিদিষ্ট সময়ে কোন গাড়ী কক্সবাজার পৌচ্ছাতে পারছিনা আবার ঢাকা যেতে পারছিনা।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি (তদন্ত) আলী রেজা জানান, কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে ৪ লেনের রাস্তা ১লেন করে বাকি ৩টি লেনে মেরামতের কাজ করায় গত কয়েকদিন যাবত মদনপুর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মেঘনা ২য় সেতুর কাজ করার কারণে ও মেঘনা সেতু একলেন হওয়ায় অতিরিক্ত গাড়ী ব্রিজের মুখে গিয়ে জমা হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আগামীকাল সরকারী ছুটির কারণে অতিরিক্ত গাড়ী মহাসড়কে চলার কারণে গত কয়েকদিন থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ দিন রাত কাজ করছে।