নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁ মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ২দিন ধরে কচ্ছপ কচ্ছপ গতিতে চলছে গাড়ী। এতে করে হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ যানজট শুক্রবারে ভয়াবহ আকার ধারন করে। শুক্রবার ভোর থেকে যান চলাচলে ধীর গতি শুরু হয়। ফলে যাত্রীদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা একই জায়গায় আটকা পড়ে থাকতে হয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে চাঁদপুরের মতলব গামী যাত্রী পারভেজ পাটোয়ারী জানান, আমি সকাল সাতটায় বাসে উঠেছি। এখন দুপুর একটা বাজে। ভেবেছি বাসায় গিয়ে জুমার নামাজ পরবো। কিন্তু বাস এখানো কাঁচপুর সেতুতে আটকে আছে।
এদিকে দীর্ঘ এ যানজটে শিশু ও নারীরা বেশ দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। রিনা বেগম নামে কুমিল্লার এক যাত্রী জানান, মদনপুর থেকে সকালে বাসে উঠে দুই ঘন্টায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসেছি। কখন বাসায় যাবো জানি না।
ঢাকার চাকুরীজীবি রায়হান জানান, ভেবেছি দুপুরে বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার খেতে পারবো যে রাস্তা দুই ঘন্টায় যাওয়ার কথা সেখানে ছয় ঘন্টা হয়েছে অথচ একই জায়গায় বসে আছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর কায়ুম সরকার জানান, তিনদিন সরকারী ছুটি থাকার কারনে মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ীর চাপের কারনে ও কাঁচপুর ও মেঘনা সেতু নির্মানে কারণে এ লেন হয়ে গাড়ী চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ রাত-দিন মহাসড়কে থেকে যানজট নিরসনের চেষ্টা করছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আগামী ১৬ মার্চ কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ কারণে ইউলুপের গার্ডারের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এতে যানবাহনের ধীর গতি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও মেঘনা সেতুতে একটি গাড়ী বিকল হয়ে পড়ায় এ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা টোল প্লাজায় ধীরগতিতে টোল আদায়ও যানজটের কারণ বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সোনারগাঁ থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।