নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: খুনের শিকার ইমাম দিদারুল ইসলাম এবং ঘাতক ইমাম ওয়াহিদুজ্জামান একে অপরের বন্ধু। এই সুবাদে দিদারুলের কাছে থেকে স্বর্ণের বার কেনার কথা বলে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা নেয় ওয়াহিদ। পরবর্তীতে এই টাকা নিয়ে দুজনের সাথে কিছুটা মতানৈক্য ঘটে। টাকা ফেরৎ চায় দিদারুল। চাপে পড়ে যান ঘাতক ওয়াহিদ। ফলে টাকা যাতে ফেরৎ দিতে না হয় সে লক্ষ্যে দিদারকে খুনের পরিকল্পনা করে ওয়াহিদ।
তিনি জানান, খুনের পরিকল্পনা মোতাবেক ২০ আগস্ট দিদারুলের সাথে দেখা করে পরদিন ২১ আগস্ট এশার পর পাওনা টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা জানায়। করার জন্য সোনারগাঁয়ের মল্লিকপাড়া মসজিদে আসেন ওয়াহিদ। সে মোতাবেক এদিন ওয়াহিদ আবারও আসে দিদারের মসজিদে। এর আগে তিনি খুনের পরিকল্পনা মোতাবেক শিবচর থেকে চাপাতি এবং সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড় থেকে ঘুমের ওষুধ ও কোকাকোলা কিনে নেয়।
পুলিশ সুপার বলেন, রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন ইমাম দিদারুল। এসময় ঘুমে ওষুধ মিশ্রিত কোকাকোলা দিদারকে পান করালে সে অচেতন হয়ে বিছানায় ঢলে পড়েন। পরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক চাপাতি দিয়ে দিদারের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংস ভাবে হত্যা সম্পন্ন করেন শিবচর মসজিদের ইমাম ওয়াহিদুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, হত্যা সম্পন্ন হওয়ার পর এবং হত্যাকা- নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খুনের শিকার দিদারের ব্যবহৃত খাতায় ওয়াহিদ লিখেন, ‘হিযবুত তাওহিদের সদস্য, সে আমাদের দল থেকে অস্ত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছে তাই তাকে আমরা মেরে ফেলেছি।’ এবং সে মসজিদের ওযুখানায় গিয়ে গোসল করেন ও রক্তমাখা লুঙ্গি পাশের কচুরিপানার মধ্যে ফেলে রেখে ঢাকা হয়ে মাদারিপুর চলে যায়।