নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে ও ছোটখাটো যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার লক্ষে সোনারগাঁ উপজেলার গুরুত্বপুন কয়েকটি রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন পৌরসভা কয়েকটিি রাস্তা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি লেন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেন। বাঁশ দিয়ে বন্ধ করা রাস্তাগুলো কয়েক ঘন্টা না যেতেই  সন্ধ্যার খুলে ফেলে দেয় স্থানীয়রা।

ফলে ওইদিন থেকেই ফের ওসব রাস্কাগুলোতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, করোনা মোকাবেলায় সারা দেশে লক ডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষ জীবন জীবিকার জন্য প্রতিদিনই বেরুতে হচ্ছে। কোন না কোন কাছে মানুষ যাচ্ছে হাট-বাজারে ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে। এতে স্বাভাবিক ভাবে তাদের তাদের অটোরিক্সা বা অন্য কোন বাহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। শহরগুলোতে বেরুলে মুভমেন্ট পাশ থাকলেও গ্রামগুলোতে মানুষ মুভমেন্ট পাশ কি জিনিস সেটাই জানে না। সে জন্য তারা যত্রতত্র বাড়ি থেকে বের হয়ে কারণে অকারণে আড্ডা দিচ্ছে বিভিন্ন দোকারপাটগুলোতে। সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য বিধি নিষেধ আরোপ করে মাইকিং করলেও সাধারণ মানুষ তা মানতে নারাজ। তারা কারণে অকারনে বেরুবেই রাস্তাতে।

এদিকে সরকারের দেয়ার কঠোর লক ডাউন পালন করতে প্রশাসন দিনরাত কাজ করলেও মানুষের অনিহার কারণে সে কঠোরতা ভেস্তে যাচ্ছে। সেজন্য প্রশাসন কোথায় কোথায় জরিমানাও করেছে। তারপর তারা ঘরে থাকতে বাধ্য নয় মানুষ। এসব পদক্ষেপ কাজ না হওয়ায় সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার গোয়ালদী রাস্তা, আদমপুর বাজার, পানাম বাজার ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি লেন বন্ধ করো দেয়। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম সরেজমিনে উপস্থিত থেকে বাঁশ দিয়ে এ রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেন। এদিকে দুপুরের দিকে রাস্তাগুলো বন্ধ করার পর ইফতারী শেষ হবার পরপরই স্থানীয়রা বাঁশগুলো খুলে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাঁশ দেয়ার স্থানগুলোর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে উপজেলার লোকজন বাঁশ লাগিয়ে দেয়ার পর এসব এলাকার ক্ষমতাশীনরা তাদের নিজস্ব গাড়ি বাড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে ক্ষেপে যান। তখন তারা তাদের লোকজনদের বলেন সারা দেশের মানুষ রাস্তায় আর এখানে এসে বাঁশ লাগিয়েছে, বাঁশ খুলে ফেলে দে। যা বুঝার বুঝমুনে পরে। তাদের নির্দেশ পাবার পরপরই কে বা কাহারা সন্ধ্যার পর বাঁশ খুলে ফেলে দেয়।