নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এলাকায় অবস্থিত বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেয়াল রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দেয়া লৌহার এঙ্গেল (বেষ্টনী) এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্যস্ততম রাস্তার ফুটপাত দখল করে দেয়া এ লৌহার এঙ্গেলগুলো গাড়ী ধাক্কায় বাঁকা হয়ে এখন পথচারীদের চলাচলের দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এতে প্রতিদিনই স্কুলের শিক্ষার্থীসহ চলাচারীদের গায়ে লেগে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন। তাই অতিদ্রুত ব্যস্ততম রাস্তা থেকে লৌহার বাঁকা বেষ্টনীগুলো তুলে অন্য কোন ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।
জানাগেছে, গত ২ বছর আগে বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারদিকে দেয়াল নির্মান করা হয়। সে সময় দেয়ালগুলো শিশুদের বিনোদনের জন্য দেয়ালে বিভিন্ন কার্টুনসহ অন্যান্য ছবি আকা হয়। দেয়ালটি যাতে সুরক্ষা থাকে সেজন্য বিদ্যালয় কমিটি রাস্তার পাশে ফুটপাত ঘেঁষে ২০টিরও বেশী লৌহার এঙ্গেল বসিয়ে বেষ্টুনী তৈরী করা হয়। গত কয়েকমাস ধরে রাস্তার চলা গাড়ীগুলি ধাক্কায় ফুটপাতে লাগানো লৌহার এঙ্গেলগুলো বাঁকা হয়ে রাস্তা ও ফুটপাতের নুইয়ে পড়ে আছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রাস্তায় চলাচলরত পথচারী প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতের বেলা পথচারীরা দূর্ঘটনাটার শিকার হন বেশী।
স্থানীয় দোকানদাররা জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেয়াল রক্ষার জন্য ফুটপাতে লৌহার এঙ্গেল লাগিয়েছেন এটা ঠিক আছে কিন্তু ব্যস্ততম এ রাস্তায় যেখানে সড়কে সারাদিন যানজট লেগে থাকে যেখানে মানুষ চলাচল করতে সমস্যা হয় সেখানে ফুটপাতের উপর বসানো লৌহার এঙ্গেলগুলি আরো সমস্যার সৃষ্টি করছে। এতে ফুটপাত দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিদিন নুইয়ে পড়া এঙ্গেলগুলোতে লেগে বিদ্যালয়ে শিশু, নারীসহ ও পথচারীরা পথচারীরা আহত হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতের বেলা পথচারীরা চলতে গিয়ে বেশী সমস্যার সম্মূখিন হন। গত কয়েকদিন আগে ফুটদিয়ে যাওয়ার সময় শিশুর মাথায় একটি এঙ্গেল লেগে শিশুটি মারাত্মক আহত হয়। এছাড়া প্রতিদিনই এঙ্গেলে লেগে নারীদের পরিহিত পোষাক ছিড়ে যায়। এতে বিলম্বনায় পড়েন অনেক নারী।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ের সামনে যাতে কোন গাড়ী পাকিং করে শিশুদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য লোহার এঙ্গেল দেয়া হয়েছে। পথচারীদের আহত হওয়ার ব্যাপারে কথা বললে তারা কোন স্বউত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলবো এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।