নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। পরিস্থিতি এমন যে দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে শুতে হয়। বিশেষ করে কাঁচপুর, পিরোজপুর, ও পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব অন্য এলাকা থেকে তুলনামুলক বেশি বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। তবে এ ব্যাপারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে ফেলার কারণে সেখানে পানি জমে মশার উৎপত্তি হচ্ছে। এ জন্য তারা দ্রুত মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রকে জানিয়েছেন।
উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় ব্যবসায়ী শেখর রায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দিন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। রাতে বাসায় ফিরি শান্তিতে একটু ঘুমানোর জন্য। কিন্তু মশার উৎপাতে ঘুমাতে পারি না। মশা তাড়াতে কয়েল ব্যবহার করেও কাজ হয় না। মাঝে মধ্যে পৌরসভার লোকজন ফগার মেশিন নিয়ে ধোয়া দিয়ে যায়, কিন্তু তাতে মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ফগার মেশিনের ধোয়ার ধাক্কায় ড্রেনের মশা ঘরে উঠে আসে।
মেঘনা শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাল জানান, কয়েক দিন হল মশার উৎপাত খুব বেড়েছে। কয়েল জ্বালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। মশার যন্ত্রণায় তার সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, মশার যন্ত্রনায় আমরা নিজেরাও অতিষ্ট। দিনের বেলা পরিষদে বসে আমরা অফিস করতে পারি না মশার জ¦ালায়। কয়েল জ্বালিয়ে অফিস করি। সে জায়গায় ইউনিয়নবাসীর কি পরিমান কষ্ট হচ্ছে তা বলা উপেক্ষা রাখে না। উপজেলা পরিষদকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি কিন্তু উপজেলা থেকে এ ব্যাপারে কোন আশ্বাস পাচ্ছিনা। মশার থেকে ইউনিয়নবাসীকে রক্ষা করতে পারবো সে নিশ্চয়তাও দিতে পারিছিনা।
পৌরসভার সচিব সামসুল ইসলাম জানান, এখন মশা প্রজননের মৌসুম। মশা তাড়ানোর উদ্যোগ পৌর থেকে নেয়া হয়েছে। আমাদের অল্প কয়েকটি ফগার মেশিন রয়েছে এরমধ্যে ২টি নষ্ট এছাড়া লোকবলেরও অভাব রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অতিদ্রুত মশা নিধনের তেল ক্রয় ফগার মেশিন মেরামত করে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছড়িয়ে দিতে। তবে আমরা মশার লার্ভা নিধনের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কালো তেল এবং ওষুধ ব্যবহার করছি। পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
মশা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ড্রেনে মায়লা-আবর্জনা যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পানি জমে থাকলে সেখানে মশার লার্ভা সৃষ্টি হবেই। আর সেখান থেকে সৃষ্টি হবে মশা। মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।