নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ও সাদিপুর ইউনিয়নে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক বাড়ীতে ডাকাত ও ইটভাটায় জোর করে মাটি নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক আইনজীবির মাটি সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে, ডাকাতদের গ্রেফতার ও মাটি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়ার এলাকাবাসীর আতঙ্ক আরো চেপে বসেছে।

সূত্র জানায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের শিল্পপতি আলী হোসেনের বাড়িতে রাত ৩টায় ১০/১২ জনের একদল মুখোশদারী ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাত দল প্রথমেই অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে ঘরের আলমারিতে থাকা ৮/৯ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ দেড় লাখ টাকা সহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

এছাড়া, গত ৬ মার্চ শুক্রবার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হৈটাব গ্রামে রাত পৌনে তিনটার দিকে ১২/১৫ জনের একটি ডাকাত দল ককটেল ফাটিয়ে ৩ বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ দুই লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণলংকার, মোবাইল সেটসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের প্রতিহত করতে চাইলে ডাকাতরা ৮জনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে ডাকাতরা পালানোর সময় মিজান নামের এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে এলাকাবাসী।

অপরদিকে, গত ৮ মার্চ পুকুরের মাটি ইট ভাটায় বিক্রি না করায় উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জজকোর্টের এডভোকেট খন্দকার মোঃ মিকাঈল মিয়ার উপর হামলা করে গুলি বর্ষণ করে কথিত ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়েল মোল্লা, ফয়সাল, সালাউদ্দিন, ফারুক, মোহাম্মদ আলীসহ ৮/১০ জনের একটি দল। এ ঘটনায় রাতেই তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবি।

পরপর ৩টি ঘটনার পর পুলিশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্ধিগ জামপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের বাসীন্দারা। তারা জানান সাদিপুর এলাকার নামকরা শিল্পপতির বাড়িতে ও জামপুরে ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি করার পরও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এছাড়া একজন আইনজীবির উপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা মারধর করে গুলি বর্ষণ করেছে। এতে কোন আসামীও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। এ রকম অব্যাহত ডাকাতি ও সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ ঘটনায় পুলিশ যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারে সেক্ষেত্রে সাধারন মানুষের অবস্থা কি হবে। এমতাবস্থায় তারা পুলিশকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসানউল্লাহ জানান, ডাকাতির ঘটনায় এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। সেখানে অনেক ডাকাতদের নাম বলেছে। আশা করছি অচিরেই ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। আইনজীবির উপর হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা করার কথা সে ব্যাপারে আমি অবগত নই।