নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই পশুর হাটগুলো জমি উছেঠে। সরগরম হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের পশুর হাটগুলো। ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা হাটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা। প্রতিটি হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতি লক্ষনীয়। প্রতিটি হাটে গরুরই বিপুল পরিমান গরু আসলেও বাজার অনেক চড়া। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে লাখের নিচে গরুগুলো চাহিদা যেমন বেশী তেমনি ক্রেতার সংখ্যাও বেশী। এ সাইজের গরুর উপর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নজর খুব বেশী।
গত কয়েকদিন ধরে সোনারগাঁ উপজেলা বিভিন্ন হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর বাজার অনেকটা চড়া। প্রতিবেশী দেশ ভারত মিয়ানমার ও নেপাল থেকে গরু না আসায় এবার দেশীয় খামারীদের উৎপাদিত গরু দিয়ে চাহিদা পুরণ করতে হচ্ছে সোনারগাঁবাসীর।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যনুযায়ী, সোনারগাঁ উপজেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২১ হাজার। এরমধ্যে গরুর সংখ্যাই বেশী। সোনারগাঁয়ে প্রায় ৭ শত মতো ছোট বড় গরু খামারী রয়েছেন। তাদের উৎপাদিত গরুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ২শতাধিক। সোনারগাঁবাসীর চাহিদা পুরণ করতে নিজেদের ফার্মের পাশাপাশি বাহির থেকে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ গরু আসতে হবে। সেই হিসেবে কয়েক দিনের টানা যানজট ও বিভিন্ন জায়গায় গরু বোঝাই ট্রাকগুলো আটকিয়ে রাখায় এবার সোনারগাঁয়ে যে পরিমান গরু অন্য এলাকা থেকে আসার কথা ছিলো সেই পরিমান গরু প্রবেশ করতে পারিনি হাটগুলোতে। ফলে বাজার চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম। এতে গরু ব্যাপারী তাদের ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বিশেষ করে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা প্রচুর। আর এ সাইজের গরুর দামটাই বেশী।
পশুর হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, এবার সোনারগাঁয়ে যে পরিমান গরু আসার কথা ছিলো সেই পরিমান গরু প্রবেশ করতে না পারায় স্থানীয় গরু খামারীরা তাদের ইচ্ছামতো গরু দাম হাঁকাচ্ছেন। গরুর দাম জিঞ্জেস করলে তাদের ইচ্ছে মতো দাম চেয়ে বসে থাকেন। তাদের ভাব দেখে মনে হয় গরু বিক্রি করতে আসেনি। এমতাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটু বেশী দামে গরু কিনে বাড়িতে ফিরছেন। গত বছর যে গরুর দাম ৮০ হাজার ছিলো এ বৎসর সে গরুর দাম লাখের উপরে।
অপরদিকে গরু ব্যাপারীরা জানান, খরচ বেশী, খাদ্য ঔষধ, পরিবহন ও রাস্তার খরচ মিলে পশুর দাম বেশী পড়েছে। গতবার যে গরুর ভুসির দাম ২০ টাকা ছিলো সে ভুসির দাম এখন ৩৫ টাকা। এছাড়া অন্যান্য গোখাদ্যগুলোর দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন। তাদের গরু উৎপাদন করতেও অনেক বেশী খরচ হয়েছে। তাই গরুর তৈরীর টাকা তুলতে তাদের কিছুটা বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।