• বিকাল ৩:৫০ মিনিট মঙ্গলবার
  • ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত সোনারগাঁ জাদুঘরে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা সোনারগাঁয়ে মোটর সাইকেলে বেড়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ ঈদে গরীবের ভাগ্যেও জুটছেনা ছাডি মাংস ঈদে গবীরের মাংসের বদলে ভরসা ছাডি মাংস সোনারগাঁ উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামাতের সময় সুচি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ের বাংলা বাজারে ঈদের জামাত আদায় সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস কিনতে না পেরে মুরগী কিনতেও নাজেহার গরীর মানুষ সোনারগাঁয়ে গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া সোনারগাঁয়ে আলোর পথ সমাজ কল্যাণ সংস্থার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ সোনারগাঁয়ে ইট ভাটায় হামলা গাড়ি ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫। সোনারগাঁয়ে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম সোনারগাঁয়ে সাংবাদিক ও সুধী জনের সন্মানে জাগো সোনারগাঁও২৪.কমের ইফতার সোনারগাঁ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের নতুন কমিটির অনুমোদন ঈদের আগে ও পরে দূর্ঘটনা রোধে চালকের সচেতন হতে বললেন হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ঈদে মেঘনা সেতু যানজটমুক্ত রাখতে ৬টি নতুন ইটিসি বুথ চালু অমর পোদ্দারের উদ্যোগে ১৫শত পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন আওয়ামীলীগ নেতার টাকায় বিএনপির ইফতার, সমালোচনা ঝড় খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর ইফতার পার্টিতে যোগদান ভীত সন্ত্রস্ত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা
কান্না থামছেনা আগুনে জ্বলসে যাওয়া গার্মেন্ট কর্মী তাছলিমা ও যমজ শিশুর

কান্না থামছেনা আগুনে জ্বলসে যাওয়া গার্মেন্ট কর্মী তাছলিমা ও যমজ শিশুর

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ বিয়ের পর স্বামী নিয়ে সোনারগাঁয়ে চলে আসেন তাছলিমা। সংসাবে সুখের আশায় নিজে কাজ নেন গার্মেন্টে আর স্বামীকে দেন অটো চালাতে। বিয়ের কয়েক বছর পরই হোচট খান তাসলিমা। হঠাৎ করে শুনেন স্বামী সোহেল অটো এক্সসিডেন্ট করেছে। এক্সসিডেন্টে স্বামী সোহেলের একটি পা দুই খন্ড হয়ে যায়।  অনেক ধারদেনা করে স্বামীকে সুস্থ করে তোললেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি স্বামী সোহেল

এদিকে, অনেক কস্ট করে যখন সংসার চালাচ্ছিলেন তখনই পেটে আসে সন্তান। আল্টাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তার পেটে যে সন্তান আসছে তারা জমজ। পরে গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সহায়তায় গত ১৮ আগে সিজার করে এক ছেলে ও এক মেয়ে যমজ সন্তান জম্মদেন তাসলিমা। দুই সন্তানের দুধের গরম পানি করতে গিয়ে এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে তার পরিহিত জামায় লেগে যায় আগুন। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেহে। পরে তার স্বামী ও অন্যদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটিটে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন সেখানে চিকিৎসার পর তার চিকিৎসক যমজ সন্তানের কথা ভেবে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এখন দুটি যমজ সন্তান আর আগুনে পোড়া দেহ নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গার্মেন্টকর্মী তাছলিমা।

তাছলিমা বর্তমানে সােনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী বসুরবাগ গ্রামের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।

জানাগেছে, গার্মেন্টস কর্মী তাসলিমা ও অটোরিকশা চালক সােহেলের পরিবারে ১৮ দিন আগে জমজ ২ শিশু জন্ম গ্রহন করে। ১৮ দিন আগে জন্ম দেয় যমজ সন্তানের । গত সোমবার গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে যায় তাসলিমার শরীরের ২০ ভাগ। আগুনে পুড়ে তাসলিমা হাসপাতালে যমজ শিশুদের দেখা শোনা করছে পঙ্গু বাবা ও তাছলিমা বড় বোন গার্মেন্টকমী রোকসানা।

তাছলিমার বড় বোন রোকসানা একটি শিশু কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেদককে বলেন, তাছলিমারর শরীরে আগুন লাগার পর সে গার্মেন্টের কাজ বন্ধ করে যমজ শিশু আর তাছলিমার দেখাশুনা করছেন। আগুনে তাছলিমার পুরো পিঠ, একটি পা ও একটি হাত পুড়ে গেছে। ডাক্তারের তথ্য অনুযায়ী তার দেহের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদিকে তাছলিমার স্বামী পঙ্গু হওয়ায় তাছলিমার চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ২ দিন পর পর ৪ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ী ভাড়া করে তাকে হাসপাতালে নিতে হয় ড্রেসিং করার জন্য। এরপর দামি ঔষধ কিনতে হয়। যজম ২ শিশুর জন্য দুুুৃধ কিনতে হয়। সব মিলিযে রোগের চেয়ে বর্তমানে না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। তাছলিমার সাথের শ্রমিককরা কিছু টাকা দেয়ায় এতদিন ধরে তাছলিমার খরচ ও সংসার চলছে। গত ২ দিন ধরে ঘরে চাল ডাল কিছুই নেই। পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া ১০ কেজি চাল কিনে দিয়েছিল, পাশের একজন শিশুদের জন্য ২ কেজি দুধ দিয়েছিল সে দিয়েই চলছে সংসার। কাল যে হাসপাতালে নিয়ে যাব সে টাকাও নেই কি করবো চিন্তা করে পাচ্ছি না।একদিকে বোনের সংসার অপরদিকে নিজের সংসার কিভাবে চলবে একমাত্র আআল্লাহই  জানেন।

এ সময় তিনি তার বোন ও শিশু দুইটির জন্য বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

তাছলিমার সহায়তা ও তথ্যের জন্য নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম (০১৯১৬ ৮৬৫৬৬৬) অথবা সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ (+8801712335753) এ  যোগাযােগ করলে | তাসলিমার পরিবারের সার্বিক খোজ খবর জানা যাবে ।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution