নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাসের মধ্যে সপ্তাহে ২ দিন ব্যাংক খোলা থাকার কারনে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গাধাগাধি করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে দেখা গেছে ব্যাংকের গ্রাহকদের। মাস শেষ হওয়ার একসাথে কয়েক হাজার শ্রমিকের বেতন উত্তোলন অপর দিকে ব্যাংক নিয়মিত না খোলায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে দেখা যায়, প্রয়োজনে নিজেদের জমা রাখা টাকা উত্তোলন করতে ও কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা তাদের মাসিক বেতনের টাকা তুলতে সকাল থেকে ভীড় করতে থাকেন মোগরাপাড়া চৌরাস্তার একটি ব্যাংকে। ব্যাংকের কর্মকর্তা ব্যাংক খোলার আগেই তারা ব্যাংকের মেইন গেইটে জড়ো হতে থাকে। এদিকে, করোনা ঝুঁকির কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ব্যাংকের ভেতর অতিরিক্ত লোক সমাগম করতে দিচ্ছেন না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দুরত্ব মেনে লাইনে দাড়িয়ে একের পর এক গ্রাহককে সেবা প্রদান করেছেন তারা। অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও। অপরদিকে, সকাল থেকে ব্যাংকের সুরু বারান্দায় দাড়িয়ে থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে পড়েন কয়েকশত নারী ও পুরুষ। সারা দিন রোজা রেখে সরু জায়গায গাধাগাধি করে লাইনে দাড়িয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা ঝুঁকির মধ্যে অনেকে আবার একে অপরের গায়ের সাথে লেগে থাকতেও দেখা গেছে। অনেকে আবার লাইনে দাড়াতে দাড়াতে একে অপরের সাথে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে শুরু হয় বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা থেকে রেহায় পায় গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে গ্রাহকরা জানান, সকাল থেকে বেতন উঠাতে এসে লাইনে দাড়িয়ে আছি। ব্যাংকের লোকদের স্লো কাজকর্মের কারণে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে সবাই ধর্য্য হারিয়ে ফেলেছে। সারা দিন রোজ রেখে ছোট একটি বারান্দায় দাড়িয়ে থেকে গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরও মহামারি করোনার ঝুঁকিতো রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, একসাথে এত লোকের বেতন হওয়ায় তাদের সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এ ছাড়া ব্যাংক যেহেতু সপ্তাহে দুদিন খোলা থাকে সেজন্য গ্রাহকের ভীড়টা একটু বেশী আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে তাদের কষ্ট করতে না হয়।