নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইসাস আতংকে সোনারগাঁ উপজেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ জনগনের মধ্যে। করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারন করতে পারে এতে সবাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনায় আগে ভাগেই তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনে মজুদ করে রাখছেন। এতে বেড়ে গেছে সব পন্যের দাম।তবে উপজেলা প্রশাসনের কোন নজর দারি না থাকায় লাগামহীন হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার।
জানাগেছে, গত কয়েক মাস ধরে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে কয়েক লাথ মানুষ। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে প্রত্যেক দেশের সরকার গন জমায়েতসহ শিক্ষা প্রতিষ্টান, অফিস আদালত, বিমানসহ সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ ঘোষনা করেছে। সেজন্য অনেক দেশই জনমানবহীন ভুতুরে দেশে পরিনত হয়েছে। এদিকে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই এর সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে একজন রোগী মারাও গেছেন। এদিকে সরকার করোনা ভাইরাসে যাতে অধিক লোক আক্রান্ত না হয় সেজন্য গণসচেতনা মুলক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্টান ও গণজমায়েত বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের কারনে পৃথিবীর অনেক দেশ জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বহিবিশ্বের সকল সংবাদ গুলো প্রচারের পর ও বাংলাদেশে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার পর গত ২ দিন ধরে সোনারগাঁয়ে বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে সেজন্য উপজেলার সবকটি বাজার ও মাকেটে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার প্রবনতা বেড়ে গেছে সাধারণ জনগনের। এতে বেড়ে গেছে দ্রব্যমুল্যের দাম। সংকট দেখা দিয়েছে চাল, ডাল ও পিয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্যের।
এ ব্যাপারে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। বন্ধ হয়ে গেছে দোকান মার্কেট পরিবহনসহ সব ধরনের যোগাযোগ এতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশে সরকার জনগনের ঘরে ঘরে খাবার পৌচ্ছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে ধরনের প্রস্তুতি নেই। তাই যে কোন মুর্হুতে খাবারসহ অন্যান্য দ্রব্যেও সংকট দেখা দিতে পারে সেজন্য করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ নেয়ার আগেই চাল, ডাল ও পিয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি আগে থেকেই কিনে মজুদ করে রাখছেন।