নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম:আগামী কালের ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ঈদের ২ দিন আগ থেকেই হাটখালি হয়ে গেছে পশুর হাটগুলো। হাটে গরু না পেয়ে কোরবানীর দেয়ার জন্য এক হাট থেকে আরেক হাটে ছুটতে ছুটতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গরু কিনতে আসা গরুর ক্রেতারা। সপ্তাহের প্রথম দিকে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু সরবরাহ থাকলেও এলাকার পাইকাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে এবার সোনারগাঁয়ের হাটগুলোতে গরু না আনায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন হাট হাজারাদাররা।
ইজারাদাররা জানান, করোনা মহামারির কারণে ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে গরু আসতে পারেনি সোনারগাঁয়ে পশুর হাটগুলোতে। এছাড়া অন্যান্য বছর স্থানীয ভাবে এলাকার পাইকাররা দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে গরু এনে হাটে বিক্রি করতেন। এবার করোনা কারনে মানুষ কোরবানী দিতে মধ্যবিত্তরা কোরবানি দিতে পারবেনা এ ভেবে স্থানীয় পাইকাররা এখানকার হাটগুলোতে গরু আনেনি। ফলে স্থানীয় খামারিরা ও নিজস্ব গোয়ালে পালিত গরু এনে হাটে তুলেছিলেন। এতে করে ঈদের দুইদিন আগে থেকেই হাটগুলোর গরু শেষ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে ক্রেতারা। তারা সোনারগাঁয়ের বাহিরে বিভিন্ন হাটে ঘুরেও গরু কিনতে পারেনি।
হাটের ইজারাদাররা জানান, অন্যান্য বছর কোরবানির জন্য স্থানিয় পাইকারা সিন্ডিকেট করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসেন সোনারগাঁয়ের হাটগুলোতে। এবার করোনা ও বন্যার কারণে ব্যবসায় লস হতে পারে এ ভেবে গরু কিনেননি। ফলে সোনারগাঁ ও আশপাশের এলাকা থেকে খামারীরা গরু এনে হাটে সাজিয়েছেন কিন্তু ক্রেতার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম হওয়ায় ২/৩ দিন আগে থেকেই হাটের গরু শেষ হয়ে যায়। এদিকে যারা গরু কিনে রাখা ও ব্যস্ততার জন্য গরু কিনতে পারেননি। তারা পড়েছেন মহা বিপদে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করতে চাইছেন তারা পাচ্ছেন না পছন্দ মত ও প্রয়োজনীয় গরু।
শামীম নামের এক ক্রেতা জানান, গরু কিনে রাখা ও লালন পালনের সমস্যার জন্য চিন্তা করেছিলাম ঈদের ২/১ আগে কিনবো। গতকাল থেকে হাটে হাটে ঘুরছি কিন্তু পছন্দের গরু কিনতে পারছিনা।