নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানীর জন্য সোনারগাঁ উপজেলায় ২০ হাজার গরুর চাহিদার বিপরিতে ৪ হাজার গরু রয়েছে। এসব গরু গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় ৭১৭টি খামারে। বাকি গরুর চাহিদা পুরনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা গরু সংগ্রহ করে সোনারগাঁয়ে হাটের এনে কোরবানীর গরুর চাহিদা পুরন করবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা। তবে গত বছর এ গরুর চাহিদা ছিল ১৮ হাজার।

সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ছোট-বড় মোট ৭১৭টি গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারগুলোতে কোরবানীর জন্য যে গরু রয়েছে তা সোনারগাঁয়ে চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। আমরা সারা বছর খামারীদের গো-মাংস উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করে তুলছি। এর জন্য দিনে দিনে গরুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে, গরুর খাদ্য দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারী লোকসানের মুখে পড়ে গরু পালন করা বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলার ছোট বড় খামারের মধ্যে পৌরসভায় ১৬০টি, জামপুর ইউনিয়নে ৮০টি, বারদী ইউনিয়নে ৮২টি, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ৮০টি, পিরোজপুর ইউনিয়নে ১৩০টি, মোগরাপাড়া ইউনিয়নে ৫০টি, শম্ভুপুরা ইউনিয়নে ৯০টি, সাদিপুর ইউনিয়নে ২০টি, সনমান্দি ইউনিয়নে ৬০টি ও কাঁচপুর ইউনিয়নে ২৫টি খামার রয়েছে। এসব খামারগুলোতে দেশী জাতের গরুর সংখ্যাই বেশী। এছাড়া সারা সোনারগাঁয়ে ১ হাজার মতো ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এ ছাগলগুলোও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা কিনে এনে সোনারগাঁয়ের খাসির চাহিদা পুরন করে থাকে। তবে, ঈদের আর বেশী দিন বাকি না থাকায় ইতিমধ্যে উপজেলার হাটগুলোতে রং বেরংঙ্গের গরুতে পরিপূর্ন হয়ে হয়েছে। তবে, অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশী বিধায় এখনো গরু বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে, খামারীদের আশা আগামীকাল থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।