নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
চলমান ছাত্র আন্দোলনের মুখে শুক্রবার সকাল থেকে সোনারগাঁ থেকে ঢাকাগামী সকল কাউন্টার বাস বন্ধ রেখেছে মালিকরা। গাড়ী ভাংচুর রাস্তার আটকে রাখা ড্রাইভাদের মারধরসহ বিভিন্ন কারণে বন্ধ রেখেছে বাস সার্ভিস এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এতে ভোগান্তীতে পড়েছে সোনারগাঁ থেকে গুলিস্থানগামী যাত্রী সাধারণ।
জানাগেছে, ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান বন্দর রোডে এক ছাত্র ও ছাত্রী নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন সড়কের যানবাহন। এ ছাড়া ছাত্রদের গাড়ী ভাংচুর দীর্ঘ সময় আটকে রাখা বিভিন্ন কারণে শুক্রবার সকাল থেকে গণপরিবহনগুলো বন্ধ করে দেন মালিকরা। গত দু দিন আগে দুএকটি পরিবহন বাস চলালেও শুক্রবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় মালিকরা। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা ভোগান্তীতে পড়েছে। যদিও দু একটা লোকাল বাস মহাসড়কের চলতে দেখা গেলেও তার প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ফলে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাসের দরজায় ঝুলে অনেকেরে ঢাকা যেতে দেখা গেছে।
ভাংচুর ও কাগজ দেখার নামে হয়রানির কারণে মেঘনা থেকে গুলিস্থানগামী স্বদেশ. দোয়েল ও বোরাক তাদের বাস সার্ভিসগুলো শুক্রবার থেকে বন্ধ রেখেছে মালিকরা।
এ ব্যাপারে স্বদেশ পরিবহনের চেয়ারম্যান রহমান মিয়া জানান, ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের মুখে আমরা বাসগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। ছাত্ররা গাড়ী থামিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে ড্রাইভাদের মারধর, গাড়ী ভাংচুর করে রাস্তায় আটকে রাখে। এতে গাড়ীর মালিকরা ক্ষতির সম্মূখিন হচ্ছে।
আমাদের কাউন্টার বাসগুলো কাগজপত্র সবসময় আপডেট থাকে। তারপরও আন্দোলনের মাঝখানে পড়ে বিপদের সম্মুখিত হতে হচ্ছে গাড়ীগুলোর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাস মালিকরা। এ ক্ষতির কথা চিন্তা করে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস সার্ভিসগুলো বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সার্ভিন চালু করা হবে।