নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ থানা পুলিশের দুই এসআই গাড়িসহ পুকুরে পড়ে মারা যাওয়ার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি ইয়াবাসহ আটক ও পুলিশের গাড়ি চালানো সেই আসামী আলমগীর হোসেন নামের ব্যক্তি। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গাড়িটি আসামী চালিয়ে ছিল কিনা সে বিষয়ে তারা চিশ্চিত না। তবে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তারা জানান, পুলিশই গাড়িটি চালিয়ে ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী ওই ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি হঠাৎ জোরে চলে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। সেখান থেকে একজন দ্রুত চলে যান।
সোনারগাঁ থানা-পুলিশের একাধিক সদস্যের ভাষ্য, দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়া ব্যক্তিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর নাম আলমগীর হোসেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাঁশকানিয়া গ্রামে। গতকাল সোনারগাঁ থানার পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগাঁয়ের টিপুরদী এলাকা থেকে ৪২ হাজার ইয়াবা ও ইয়াবা বহনকারী ব্যক্তিগত গাড়িসহ আলমগীরকে আটক করে। তাঁকে হাতকড়া না পরিয়ে গাড়িটি চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যেতে বলেন এসআই শরীফুল ইসলাম ও কাজী সালেহ আহম্মেদ এবং এএসআই রফিকুল ইসলাম। সেখানে আলমগীরের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।