নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁয়ে এ প্রথম আওয়ামীলীগের সভা ঠেকাতে আওয়ামীলীগের বিপক্ষে আওয়ামীলীগ অবস্থান নিয়েছে। দু’পক্ষের এ অবস্থান যখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছিল সেই মুর্হুতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে দু’পক্ষের সভা পন্ড করে দেন। তবে সভা পন্ড করার পরও এক পক্ষকে ঠেকাতে আরেক পক্ষ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগের পক্ষে অবস্থান নেয়।
জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আহবায়ক কমিটির ঘোষনা দেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এমএ রাশেল। কমিটি ঘোষনার পর সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা তার প্রত্যাখান করে। তারা জানান, একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করতে হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিতে হয়। কিন্তু জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটির অন্য সদস্যদের অবজ্ঞা করে তাদের খেয়াল খুশি মত কমিটি ঘোষনা করেছে, যা আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে উল্লেখ করে এ কমিটিকে প্রতিহত করার ঘোষনা দেন। এদিকে, কমিটিকে ঘিরে সোনারগাঁয়ের কায়সার, মোশারফ হোসেন, মাহফুজুর রহমান কালাম ও এএইচএম মাসুদ দুলাল নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেন। তারা দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ভুলে গিয়ে এক মঞ্চে দাড়িয়ে আহবায়ক কমিটিকে প্রতিহত করার জন্য তৃনমুল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এদিকে, আজ শুক্রবার বিকালে জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ইউনিয়ন সম্মেলনের প্রস্তুতিমুলক সভা করার জন্য উটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা করার ঘোষনা দেন। অপরদিকে, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে থেকে একই স্থানে একই দিনে আরেকটি বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এ নিয়ে গত দু’দিন ধরে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। খবর পেয়ে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ দু’পক্ষের সভা নিষিদ্ধ করে। সভা নিষিদ্ধ করার পর জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষে ডাঃ আবু জাফর চৌধুরীর সমর্থকদের করা মঞ্চ পুলিশ ভেঙ্গে দেয়। এ দিকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা উটমা বিদ্যালয়ে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ডাঃ বিরুর বাড়ীর চারদিকে অবস্থান নিয়ে বিরুর নেতাকর্মীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এবং বিভিন্ন জায়গায় বিরুর নেতাকর্মীদের মারধর, গাড়ী ভাংচুর ও ব্যানার ফেষ্টুন ছিড়ে ফেলে। পরে যুবলীগ নেতারা বিরুর বাড়ীর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের না যেতে অনুরোধ করলে তারা বস্তর, নয়াপুর সাইদুর মার্কেট, ও কাঁচপুর মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে নব্য আওয়ামীলীগ ও রাজাকারদের প্রতিহত করার ঘোষনা দেন এবং সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন।
অপরদিকে, উটমা স্কুলে সভা করতে না পেরে ডাঃ বিরু তার বাড়ীতে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি সভা করে যুবলীগের কর্মকান্ডের সমালোচনা করে কঠোর হুসেয়ারী দেন। পরে তিনি তার বাড়ীর গেইটে দাড়িয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।।