নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁয়ের সন্তান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ এইচ এম মাসুদ দুলাল । যিনি সোনারগাঁবাসীর কাছে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের উপ-কমিটির সাংগঠনিক সদস্য। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদ দুলাল জাতীয় নির্বাচন ও মনোনয়ন নিয়ে কথা বলেছেন নিউজ সোনারগাঁয়ের সাথে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন সাংবাদিক ফরিদ হোসেন।
নিউজ সোনারগাঁ: আপনার রাজনীতির শুরুটা কিভাবে?
মাসুদ দুলাল: আমি পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পিতা শাহে আলম মোগরাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে সক্রিয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতিতে প্রবেশ করি। ১৯৯৮-২০০২ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ২০০২-২০০৬ সালে ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে ১৯৯০ এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেই। ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আহত হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে পল্টনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হই।
নিউজ সোনারগাঁ: আসন্ন নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের প্রায় ১০জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা এত বেশী হওয়ার কারণ কী?
মাসুদ দুলাল: সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এত বেশী হওয়ার কারণ হচ্ছে অভিবাবকহীনতা। আমি মনে করি বর্তমানে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ অভিভাবকহীন। দীর্ঘ ১৮ বছরের পুরনো কমিটি দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ। এখানে দলীয় শৃক্সক্ষলা অনেকাংশেই বিঘিœত হচ্ছে। শক্তিশালী অভিভাবক থাকলে এত এত মনোনয়ন প্রার্থী হতো না।
নিউজ সোনারগাঁ: সোনারগাঁ থেকে আসন্ন নির্বাচনে যদি মহাজোট মনোনয়ন পায় সেক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কী হবে?
মাসুদ দুলাল: আশা করি এ ধরনের কিছু হবে না। নেত্রী সোনারগাঁয়ের ব্যপারে অবগত আছেন। বিগত পাঁচ বছর সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ অনেক শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছেন। নিশ্চই জননেত্রী এ ব্যাপারগুলো আমলে নিয়ে এখানে মনোনয়ন দেবেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সোনারগাঁয়ে নৌকা প্রতীক দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। তারপরও যদি মহাজোটকে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করবো।
নিউজ সোনারগাঁ: আপনি যদি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান এবং এমপি নির্বাচিত হন তাহলে সোনারগাঁয়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
মাসুদ দুলাল: সোনারগাঁয়ের মানুষ এখনো উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। আমি যদি এমপি হতে পারি সোনারগাঁয়ে অবশ্যই একটি বিশ্ববিদ্যালয় করবো। এছাড়া সোনারগাঁয়ে ভাল কোন হাসপাতাল নেই, সেটিও আমি করার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি সোনারগাঁকে পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা আছি। তাছাড়া সোনারগাঁবাসীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন করার ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে আমার।
নিউজ সোনারগাঁ: সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০জন। মনোনয়ন পাবেন একজন। সেক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে কোন অর্ন্তদ্বন্ধ সৃষ্টি হবে কিনা?
মাসুদ দুলাল: আমি মনে করি কোন ধরনের অন্তর্দ্বন্ধই সৃষ্টি হবে না। কারণ আমরা সবাই নৌকার লোক। নৌকাকে বিজয়ী করাই আমাদের সকলের লক্ষ্য। এখানে অন্তর্দ্বন্ধের সুযোগ নেই।
নিউজ সোনারগাঁ: নির্বাচন তো খুব কাছাকাছি আপনার মনোনয়নের ব্যাপারে কোন আশ্বাস পেয়েছেন কিনা?
মাসুদ দুলাল: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এখন পর্যন্ত মনোনয়নের ব্যাপারে কাউকে কোন আশ্বাস দেয় নাই। আমিও কোন আশ্বাস পাই নাই নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন। সময় মতো সবাই সেটা জানতে পারবে।
নিউজ সোনারগাঁ: সোনারগাঁবাসীর জন্য আপনার বক্তব্য কী?
মাসুদ দুলাল: সোনারগাঁবাসীর জন্য আমার বক্তব্য হচ্ছে আমি সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সুন্দর সোনারগাঁ গড়ে তুলতে চাই। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আমি জানি আমার উপর সোনারগাঁবাসীর যথেষ্ট আস্থা আছে আমি এর প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করবো।