১৯৯১ সালে প্রথম নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হোন অধ্যাপক রেজাউল করিম। পরবর্তীতে আরো দুইবার নির্বাচনে এমপি এবং একবার প্রতিমন্ত্রী হোন। নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই দাবি করেন তিনি। যদিও তার অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয় দুটি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। সোনারগাঁয়ের মানুুষ তাকে সাধারণ ঘরের সন্তান হিসেবেই বারবার ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করে অসাধারণ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছেন। যার নিজের আখের গুছিয়েছেন তিনি। একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রী হয়ে তিনি সোনারগাঁয়ের মানুষের জন্য কি করেছেন তার উত্তর খুজতে হলে বিরাট ফ্যারাক। নিজের থুলি ভরলেও জনগণের আমুল পরিবাারের কোন সুযোগ তিনি তৈরি করেননি। কাউকে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগীতা তিনি করেছেন এমন ব্যক্তি খুজে পাওয়া দায়। তার অতীতে দান খয়রাতের তালিকা খুবই ছোট।

স্থানীয়দের দাবিমতে-নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এক সময়। বেশ দাপটের সঙ্গেই রাজনীতি করেছিলেন। কিন্তু যে জনগণ তাকে ভোট দিয়ে আজকে তাকে এমন স্থানে নিয়ে এসেছেন এমন মহামারিতে নেই রেজাউল করিমের দুই হাত। সাধারণ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ যখন অভুক্ত তখন রেজাউল করিমের হাতে কিংবা তার পক্ষে কোন সহায়তা নাই। রাজনীতিও করেন পার্টটাইম। শুধুমাত্র নির্বাচন আসলেই তিনি দলের মনোনয়ন কিনতে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। ভোট আসলেই তিনি এলাকায় নামেন মানুষের মৌখিক খোজ খবর নেন। কিন্তু এর বেশি কিছু তার কাছ প্রাপ্য হয়নি সোনারগাঁয়ের মানুষ। সর্বশেষ রেজাউল করিম কত বছর আগে তিনি তার হাতে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কিংবা কোন সামাজিক অরাজনৈতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান কিংবা সাহায্য সহায়তা দিয়েছেন সেটা নেতাকর্মীরাও মনে করতে পারছেন না। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে সোনারগাঁয়ের মানুষ অতীতে এমন ভুল মানুষদের ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছিলেন তারা হাজার হাজার কোটি টাকার ধন সম্পদের মালিক হওয়ার জন্যই কি? জনগণের ভোট তারা কোটিপতি হয় কিন্তু জনগণের বিপদে পাশে দাড়ায়না। তেমনি রেজাউল করিমের বর্তমান অবস্থা। সুত্র সান নারায়ণগঞ্জ